মুসলিমদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে প্রায়ই বিতর্কে থাকেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত ♌বিশ্ব শর্মা। আর এবার মাছ চাষ নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মন্তব্য করেছেন, মাছ চাষিরা বিশেষ রাসায়নিক ব্যবহার করার ফলে রাজ্যে কিডনি রোগের সংখ্যা মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি মুসলিম বা কোনও সম্প্রদায়ের নাম উল্লেখ করেননি। তবে তিনি যে এলাকার মাছ চাষীদের নিয়ে মন্তব্য করেছেন সেই এলাকাটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। ফলে তিনি এ বিষয়ে মুসলিম মৎস্যজীবীদের দিকেই ইশারা করেছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ꦚহিমন্তকে ‘যোগীর চাইনিজ ভার্সান’ কটাক্ষ তেজস্বীর! পাল্টা লালু-পুত্রকে তোপ BJPর
𒅌হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাধারণত বাংলাভাষী মুসলিমদের মিঞা বলে মন্তব্য করে থাকেন।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নগাঁও এবং মরিগাঁওতে মাছ চাষিরা ইউরিয়া এবং বিশেষ রাসায়নিক ব্যবহার করছেন। তার ফলে গত চার বছরে রাজ্যে কিডনির রোগের হার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এ বিষয়ে তাঁর পরামর্শ, মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের জৈব উপায় রয়েছে। মাছ উৎপাদনে এই সমস্ত পথ অবলম্বন করলে কোনও কাজে আসবে না।
🐬প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নওগাঁতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তিন যুবকের বিরুদ্ধে গত ২২ অগস্ট দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। তারপরেই এমন মন্তব্য হিমন্তের। চারটি জেলার জাতিগত সম্প্রদায়ের অনুপ্রবেশকারীদের চলে যেতে বলার পর দুটি জেলার মাছ উৎপাদকরা প্রতিবাদে উচ্চ অসমে মাছ সরবরাহ বন্ধ করে। এ প্রসঙ্গে হিমন্ত বলেন, ’আমি উচ্চ অসমের জনগণের কাছে বলছি। নওগাঁও এবং মরিগাঁও থেকে মাছ সেখানে না গেলেই ভালো। আপনারা এই সুযোগ নিন। বাজার দখল করুন। দ্বন্দ্বের মাধ্যমে নয় স্বাস্থ্যের উপযুক্ত মাছ উৎপাদন করুন ।’
প্রসঙ্গত, বাংলার মতো অসমের মানুষের খাদ্য সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হল মাছ🎉। রাজ্যে প্রতি মাসে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন মাছের প্রয়োজন হয়। যার মধ্যে ৯৮ শতাংশের বেশি মাছ রাজ্যেই উৎপাদন হয়।মরিগাঁও, নগাঁও এবং কাছাড় জেলায় সবচেয়ে বেশি মাছ উৎপাদন হয়। এ ছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহার থেকে প্রচুর মাছ আমদানি করা হয় অসমে।