নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারায় অসমে অবৈধ অভিবাসন ইস্যুটির সাংবিধানিক বৈধতা পর্যবেক্ষণ করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, অসমে নাগরিকত্ব ইস্যুটি নিয়ে একটা সময়ে দেশের উত্তর পূর্ব থেকে প্রতিবাদের আগুন জ্ব🍌লে উঠেছিল। যার রেশ দিল্লির বুকেও এসে পড়ে। জানা গিয়েছে, শিবসেনার ভাঙন সংক্রান্ত নানান মামলার আবেদনের শুনানি শেষ হলে তারপরই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মামলার শুনানি শুরু হবে।
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইনের সেকশন ৬ একটি বিশেষ অ্যাক্ট হিসাবে পরিগণিত হয়। এতে অসম অ্যাকর্ডের আওতায় নাগরিকদের নাগরিকত্ব নিয়ে বিশেষ একটি আইনের কথা বলা হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারির পর এবং ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে যাঁরা অসমে এসেছেন নির্দিষ্ট এলাকা (যেমন বাংলাদেশ) থেকে, এবং থেকে গিয়েছেন অসমে ১৯৮৫ ಌসালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায়, তাঁদের সকলকেই অসমের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় নাাগরিক হিসাবে পরিগণিত করা হয়। তাঁরা নাগরিক হিসাবে পরিগণিত হন সেকশন ১৮ এর আওতায়। অসমে আসা বাংলাদেশের উদ্বাস্তুদের অসমে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য ‘কাট অফ ডেট’ হিসাবে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিনটিকে ধার্য করা হয়েছে এই বিশেষ আইনের আওতায়। আর সেই আইনকেই এবার পরীক্ষা করতে দেখতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে চলেছে। বেঞ্চের নেতৃত্বে হিসাবে থাকতে চলেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এছাড়াও বেঞ্চে থাকছেন বিচারপতি এমআর শাহ, কৃষ্ণ মুরারি, হিমা কোহলি, এবং পিএস নরসিংহ। উল্লেখ্য, এই ইস্যুতে ১৭ টি পিটিশন সুপ্রিম কোর্টের কা🔯ছে এসেছে। প্রসঙ্গত, গুয়াহাটির একটি এনজিও অসম অ্যাকর🎃্ডের আওতায় নারিকত্ব আইনের ৬ এ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় ওই আইনে নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগের সুর তোলা হয়। আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েও তোলা হয় প্রশ্ন। অভিযোগের সাপেক্ষেই ফেব্রুয়ারি মাসে এই মামলা নিয়ে শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।