সংক্রমণ না কমলে কয়েকটি জেলায় সম্পূর্ণ লকডাউনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। কার্যত সেই পথে হাঁটল অসম সরকার। সংক্রমণের হ🉐ারের ভিত্তিতে জেলাগুলিতে তিন ভাগে ভাগ করে উচ্চ সংক্রমণের হার বিশিষ্ট জেলাগুলিতে ২৪ ঘণ্টায় কার্ফু জারি করা হল। অন্যান্য জেলাগুলিতে🔴ও কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড়-সহ বিধিনিষেধ আরোপ করা হল। যা আগামিকাল (সোমবার) ভোর পাঁচটা থেকে কার্যকর হবে।
শনিবার অসম সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়🅺েছে, সংক্রমণ হারের ভিত্তিতে তিনটি ভাগে সমস্ত জেলাকে ভাগ করা হয়েছে - উচ্চ সংক্রমণের হার বিশিষ্ট জেলা, মধ্য সংক্রমণের হার বিশিষ্ট জেলা, এবং উন্নতির আশা দেখানো জেলা। উচ্চ সংক্রমণের হার বিশিষ্ট জেলাগুলিতে (মরিগাঁও, বিশ্বনাথ, গোয়ালপাড়া এবং গোলাঘাট জেলার অধীনে বোকাখাট মহকুমা) সর্বক্ষণ কার্ফু থাকবে। বন্ধ থাকবে যাবতীয় দোকান, কর্মস্থান, বাণিজ্যিক বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। তবে মুদিখানা, ফল, আনাজ, দুগ্ধজাত দ্রব্য ও দুধের বুথ, খাদ্যশস্যের দোকান বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
মধ্য সংক্রমণের হার বিশিষ্ট জেলাগুলিতে (ধুব♊রি, কোকরাঝাড়, বরপেটা, নলবাড়ি, বাকসা, বাজালি, কামরূপ, দারাং, শোনিতপুর. নওগাও, হোজাই, গোলাঘাট ও সরুপপাথর মহকুমা, জোরহাট, শিবসাগর, তিনসুকিয়া, লখিমপুর, কাছার, করিমগঞ্জ, করবী অ্যাঙ্গলং এবং ডিব্রুগড়) আবার দুপুর দুটো থেকে পরদিন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে কার্ফু। সেখানে দুপুর একটা পর্যন্ত যাবতীয় দোকা🏅ন, কর্মস্থান, বাণিজ্যিক বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে রাখা যাবে। সংক্রমণ হার হ্রাস পাওয়া জেলাগুলিতে বিকেল পাঁচটা থেকে পরদিন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে কার্ফু। সেই জেলাগুলিতে বিকেল চারটে পর্যন্ত যাবতীয় দোকান খুলে রাখার ছাড়পত্র দিয়েছে অসম সরকার।
আর কী কী বিধিনিষেধ জারি হয়েছে, দেখে নিন -
১) পুরোপুরি কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া যে সরকারি কর্মীরা (চুক্তিভিত্তিক এবং স্থায়ী বেতনের কর্মীরাও) করোনাভাইরাস টিকার কমপক্ষে একটি ডোজ 🌜নিয়েছেন, তাঁদের অফিসে যেতে হবে। বেসরকারি সংস্থাগুলি কর্মী উপস্থিতির বিষয়ে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
২) সম্পূর্ণ কনটেনমেন্ট জোনে যাবতীয় সরকারি এবং বেসরকারি পরিবহন বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র পণ্য 🍌পরিবহন এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়িকে বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখা হবে।
৩𝔍) পুরো রাজ্যে আন্তঃজেলা পরিবহন বন্ধ থাকবে। উপযুক্ত করোনা বিধি মেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে জেলার মধ্যে গাড়ি চলাচল করতে পারে।
৪) শিক্ষকদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে জেলা প্রশাসনের তরফে তাঁদের বন্যা ও করোনা মোকাবিলা বা জরুরি পরিষেবার কাজের ভার দেওয়া 𒁏হয়, তাহলে সেই দায়🥀িত্ব পালন করতে হবে।