রবিবার, ৭ নভেম্বর থেকে নিউ জিল্যান্ডে লাগু হল 'এন্ড অফ লাইফ চয়েস অ্যাক্ট'। এই আইনের পক্ষে এক বছর আগেই সমর্থন জানিয়ে ভোট দিয়েছিলেন সেদেশের নাগরিকরা।গত বছর অনুষ্ঠিত একটি গণভোটে এই আইনের সমর্থনে ৬৫% ভোট পড়ে। এর বিপক্ষে ৩৩% ভোট পড়েছিল।বিলটি এর আগে ২০১৯ সালে নিউ জিল্যান্ডের সংসদে ৬৯ থেকে ৫১-র ব্যবধানে পাশ হয়েছিল। এটি গণভোটের জন্য পাঠানো হয়েছিল।নয়া আইনে গুরুতর অসুস্থ রোগীরা নিজের জীবন শেষ করতে জন্য চিকিত্সকের কাছে আইনত অনুরোধ করার অনুমতি পেলেন। নতুন আইন অনুসারে, 'সহায়তামূলক মৃত্যু' বা 'ইউথেনেশিয়া'-কে আইনত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে শর্তবিশেষে এটি প্রযোজ্য। বলা হয়েছে টার্মিনাল অসুস্থতায় ভুগছেন এবং মাত্র ৬ মাস বা তারও কম সম্ভাব্য আয়ু রয়েছে, এমন রোগীরাই এই আবেদন করতে পারবেন। অর্থাত্ চিকিত্সায় শারীরিক অবস্থার উন্নতির থেকে অবনতি বা অপরিবর্তনীয় থাকবে, এমন ক্ষেত্রেই স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নিতে পারবেন সেই রোগীরা।আইন বলা হয়েছে, যাঁরা 'অসহ্য যন্ত্রণার সম্মুখীন হন এবং তা এমনভাবে উপশম করা যাবে না যা ব্যক্তিটি সহনীয় বলে মনে করেন' সেই ক্ষেত্রে এই আবেদন করা যাবে।যে ব্যক্তি 'সহায়তা মৃত্যুর' জন্য অনুরোধ করবেন তাঁকে একজন নিরপেক্ষ, স্বাধীন চিকিত্সক পরীক্ষা করবেন। এর পাশাপাশি রোগীর এতদিন চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিত্সকও পরীক্ষা করবেন। উভয় চিকিত্সককেই আইনের অধীনে নির্ধারিত মানদণ্ডে একমত হতে হবে। যদি তাঁরা অনিশ্চিত হন, সেক্ষেত্রে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ওই ব্যক্তির মূল্যায়ন করবেন। আইনে বলা হয়েছে, 'যোগ্য ব্যক্তিকে মৃত্যু সহায়তাকারী ওষুধ গ্রহণের তারিখ এবং সময় বেছে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে'। এর পাশাপাশি বলা হয়েছে, 'যদি আবেদন গ্রহণ হওয়ার পরেও ওই ব্যক্তি অনুরোধ প্রত্যাহার করেন, সেক্ষেত্রে আর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।'প্রসঙ্গত, গত শনিবার, ৬ নভেম্বর পর্তুগালের সংসদও স্বেচ্ছামৃত্যুকে বৈধতা দিয়েছে। পর্তুগালের আইন প্রণেতারা একটি সংশোধিত বিল অনুমোদনের মাধ্যমে ইউথানেশিয়াকে বৈধ করার পক্ষে ভোট দেন। এর আগের বিলের কিছু ধারা সাংবিধানিক আদালত আপত্তি জানিয়েছিল। সেগুলি সংশোধন করা হয় নয়া বিলে।