ব্রিটিশ ওষুধ উৎপাদক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কোভিড প্রতিরোধে ‘মহৌষধ’ ভ্যা🐷ক্সিন সৃষ্টি করেছে। রবিবার এই দাবি করলেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার চিফ একজিকিউটিভ প্যাসকাল সরিয়ট।
ব্রিটেনের বেসরকারি ওষুধ নিয়ন্ত্রক স✤ংস্থা বর্তমানে তাঁদের তৈরি ভ্যাক্সিন হাসপাতালে ভরতি করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের ক্ষেত্রে ‘১০০% সুরক্ষা’ দিতে পারে বলে ঘোষণা করেছে, এ দিন এক সাক্ষাৎকারে এমনই 🍷দাবি করেছেন সরিয়ট।
সেই সঙ্গে তিন🍸ি জানিয়েছেন, ফꦇাইজার-বায়োএনটেক (৯৫%) এবং মডার্না-র (৯৪.৫%) তৈরি ভ্যাক্সিনগুলির মতো তাঁদের উৎপাদিত টিকাও ট্রায়ালে সমান দক্ষ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
সরিয়টের মতে, ‘আমরা মনে করছি, আমরা জেতার ফর্মুলা পেয়ে গিয়েছি এবং দুই ডোজের পরে অন্যদের মতোই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি।’ এই বিষয়ে প♎রে সবিস্তারে তথ্য পেশ করবে তাঁর সংস্থা, এমনই জানিয়েছেন অ্যাস্ট্রা কর্তা।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে যে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাক্সিন উৎপাদকরা ব্যাপক হারে ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে তাঁদের সব তথ্য মেডিসিনস অ্যান্ড হেল্থকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সির (MHRA) কাছে জমা দিয়েছে। আগামিকাল, সোমবার সেই অনুমোদন পাওয়া যেত💯ে পারে বলে জানিয়েছে ‘সানডে টেলিগ্রাফ’ সংবাদপত্র।
ব্রিটেনের বেসরকারি ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার থেকে প্রথম কোভিড ভ্যাক্সিন হিসেবে সাধারণের ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পায় ফাইজার-বায়োএনটেক সংস্থার তৈরি টিকা। গত নভেম্বর মাসে অনুমোদিত হওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার ব্রিটিশ নাগরিকের উপরে প্রয়ো♍গ করা হয়েছে সেই টিকা।
তবে দেশের ভ্যাক্সিন চাহিদা মেটাতে মূলত অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড ভ্যাক্সিনের উপরেই নির্ভর করছ🐠ে বরিস জনসনের সরকার। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে ১,০০০ কোটি টিকার ডোজ চেয়ে উৎপাদক সংস্থার কাছে অর্ডার প𓃲ৌঁছেছে।
অ্যাস্ট্রাজ🍰েনেকা উৎপাদিত ভ্যাক্সিনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যে পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এই ভ্যাক্সিন ৭০% দক্ষ হিসেবে জানা গেলেও ডোজের তারতম্যে তা একলাফে ৯০% হয়ে দাঁড়ায়।