করোনাভাইরাসের প্রকোপে এমনিতেই বেহাল দশা। তারমধ্য♑েই অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বড়সড় ধাক্কা দিল বেকারত্বের পরিসংখ্যান। ‘সেন্টার অফ মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’-র (সিএমআইই) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর মে'তে চাকরি হারিয়েছেন কমপক্ষে ১.৫৩ কোটি ভারতীয়। যা সরকারি ক্রেতাদের ব্যয়ের প্রবণতা এবং অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে চাকরিজীবী মানুষের সংখ্যা ছিল ৩৯ কোটির বেশি। গত মাসে তা কমে দা♛ঁড়িয়েছে ৩৭.৫ কোটির মতো। এপ্রিল এবং মে'তে বেতনভুক এবং বেতনহীন চাকরিজীবীর সংখ্যা কমেছে ২.৩ কোটির বেশি। সেই সময় করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন রাজ্য লকডাউনের পথে হাঁটে। ফলে একাধিক রাজ্যে থমকে যায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। তার ফলে গত বছরের জুলাই থেকে অর্থনীতি যে ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তায় যাচ্ছিল, তা ফের বন্ধ হয়ে যায়। কমে যায় কর্মসংস্থানের সুযোগ। আরও বেশি সংখ্যক মা⛎নুষ চাকরির সন্ধান করতে থাকেন। কিন্তু অভাব পড়ে চাকরির।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বেতনভুক চাকরির ক্ষেত্রে করোনা মহামারীর প্রভাব তবুও কম পড়েছে। যেটুকু পড়েছে, তা মূলত শহরাঞ্চলেই সীমিত রয়েছে। কিন্তু ব্যবসা, ছোটো ব্যবসায়ী, দিনমজুরদের উপর করোনার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এপ্রিলে ১২.৭ কোটির বেশি মানুষ ছোটোꩵ ব্যবসা এবং দিনমজুরির কাছে যুক্ত ছিলেন। মে'তে তা কমে গিয়েছে ১.৭ কোটির মতো। তার জেরে অনেকেই কৃষির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন কাজ শুরু করেছেন। শুধুমাত্র মে মাসেই ৯০ লাখের মতো মানুষ কৃষ♚ি সংক্রান্ত কাজ শুরু করেছেন। তারইমধ্যে আবার গ্রামীণ এলাকায় বেতনভুক চাকরি বেড়েছে ১৪ লাখের মতো। কিন্তু শহরাঞ্চলে তা কমেছে ১২.২২ লাখ।
ইনস্টিটিউট অফ ইকোনক🍷িম গ্রোথের অর্থনীতির অধ্যাপক অরূপ মিত্র বলেন, ‘গত বছরের লকডাউনের জেরে চাপে ছিল চাকরির বাজার। ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ আরও বেশি মাত্রায় ক্ষতি করেছে। আমরা ধর্তব্যে আনছি না যে চাকরি হারানোর অর্থ হল ব্যক্তিগত চাহিদা কমবে। মানুষ চাকরি হারানোর প্রভাব পড়বে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়ার উপর। যদি ক্রেতার উপার্জন না হয়, তিনি খরচ করবেন না।’ সঙ্গে তিনি বলেন, 'অকৃষিকাজ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের সুযোগ কমেছে গ্রামে। সেখানে কর্মীর সংখ্যা বেশি। মানুষ যে কৃষিকাজ সংক্রান্ত 𓃲কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন, তা আদৌও কার্যকরী কিনা, তা আলাদা বিতর্কের বিষয়। তবে এটার অর্থ যে অনেক মানুষ একই কাজ করছেন। তার ফলে উৎপাদনশীলতা কমছে। সঙ্গে কমছে আয়।'