পঞ্জশিরে কমপক্ষে ৩৪ জনকে তালিবান ‘জঙ্গিকে’ খতম করা হয়েছে। আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ মহম্মাদিকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা। যদিও তালিবানকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চারদিক থেকে পঞ্জশির ঘিরে নিয়েছে তালিবান। সেইসঙ্গে পঞ্জশিরের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। গত ১৫ অগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করলেও এখনও পঞ্জশির হাতে আসেনি তালিবানের। বরং পালটা লড়াই চালাচ্ছে তালিবান-বিরোধী গোষ্ঠী। তার জেরে প্রায়শই সংঘর্ষের খবর মিলছে। তারইমধ্যে বিসমিল্লাহকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, মঙ্গলবার পঞ্জশিরে হামলা চালিয়েছিল তালিবান ‘জঙ্গিরা’। মিলেছে পালটা জবাব। ৩৪ জন তালিবানি ‘জঙ্গিকে’ নিকেশ করা করা হয়েছে। আহত হয়েছে ৬৫ জন। তার জেরে তালিবান পিছু হটে গিয়েছে বলে বিসমিল্লাহকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা। যদিও রয়টার্স জানিয়েছে, পঞ্জশিরের আফগানদের উদ্দেশে একটি রেকর্ড করা বার্তায় তালিবান নেতা আমির খান মোতাকি ‘বিদ্রোহীদের’ অস্ত্র রেখে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। মোটাকি বলেছে, ‘সমস্ত আফগানের ঘর হল ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তান’। পঞ্জশিরের ‘বিদ্রোহীদের’ সঙ্গে একাধিক আলোচনা করতে চেয়েছে তালিবান। কিন্তু ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে’ কোনও ইতিবাচক ফল মেলেনি।তারইমধ্যে আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছেন, পঞ্জশিরে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে তালিবান। তার জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেইসঙ্গে পঞ্জশির রাস্তাও অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পঞ্জশিরের বাসিন্দাকে উদ্ধৃত করে টোলো বলেছে, ‘গত দু'দিন ধরে ওরা (তালিবান) পঞ্জশিরের টেলিকমিউনিকেশন বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। সমস্যার মুখে পড়েছেন মানুষ। তাঁরা দেশের অন্য প্রান্তে বসবাসকারী আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।’