কলকাতা থেকে পটনা যাওয়ার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। টাল সামলাতে না পেরে গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই মাঝরাস্তায় উলটে গেল বাস! তাতে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যুর🌺 খবর পাওয়া গিয়েছে। জখম হয়েছেন আরও অনেকে। বৃহস্পতিবার সকালে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাজারিবাগ জেলার বারকাঠা থানার অন্তর্গত গোরহার এ🍰লাকায় সকাল ৬টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে।
হাজারিবাগের পুলিশ সুপার অরবিন্দ🃏 কুমার সিং জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনায় যে সাতজনের মৃত♔্যু হয়েছে, সেই খবর তাঁর কাছেও পৌঁছেছে।
এই দুর্ঘটনায় মৃতদের ম🙈ধ্যে রয়েছেন রাজকুমারী প্রসাদ। পিটিআই সূত্রে খবর, রাজকুমারী মারা গেলেও কোনও মতে বেঁচে যান তাঁর স্বামী মোতিচাঁদ প্রস🌸াদ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর তিনি জানান, 'সকালে যখন আমরা সকলে বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলাম🐈, তখনই এই দুর্ꦬঘটনা ঘটে। আমরা বুধবার রাতে কলকাতা থেকে বাসে উঠেছিলাম। বিহার যাচ্ছিলাম।'
ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতﷺ নয় পুলিশ। তবে, প্রাথমিক ভিত্তিতে কিছু ত🌃থ্য সামনে এসেছে, যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শু💜রু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দুর্🦋ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ আধিকারিকদের মনে হয়েছে, যে সংস্থাকে ছয় লেনের রাস্তা তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে, তারাই সম্ভবত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করেছিল। মনে করা হচ্ছে, সেই ধরনের কোনও গর্তে পড়েই বাসটি উলটে যায়।
পুলিশের আরও অনুমান, চালক হয়তো দূর থেকে রা🦹স্তার ওই অংশ দেখতে পাননি। একেবারে শেষ মুহূর্তে সেটি তাঁর চোখে পড়। কিন্তু, ততক্ষণে আর হয়তো কিছু করার ছিল না।
যদিও যাত্রীদের মুখে অন্য কথা শোনা যাচ্ছে। পিটিআই সূত্রে খবর🃏, গণেশ কুমার নামে এক যাত্রী জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার ঠিক আগেই এক বাঁক পেরিয়ে এসেছিলেন চালক।
তাঁর অনুমান, খুব সম্ভꦓবত𝓡 সেই বাঁকটি নেওয়ার সময়েই বাসটি এক দিকে হেলে যায়। যার জেরে গাড়ির উপর আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি চালক এবং সেটি রাস্তার এক ধারে উলটে পড়ে।
তবে, এসবই অনুমান। ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, তা সবদিক খতিয়ে দেখার এবং তদন্তের কাজ শেষ হওয়ার পরই জানা যাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ আ🌜ধিকারিকরা।
এদিকে, সকালবেলা এই দুর্ঘটনা ঘটার পরই সেখানে পৌঁছে যান আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা।ཧ প্রাথমিকভাবে তাঁরাই উদ্ধারকাজ শুরু করেন। গ্রামবাসীর চেষ্টায় অন্তত ৫০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও🏅 অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছয়।