আবারও কর্মস্থলে আক্রান্♊ত কর্তব্যরত চিকিৎসক! এবারের ঘটনাস্থল গুজরাত।
অভিযোগ, গুজরাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। ওই চিকিৎসকের 🐲'অপরাধ'? তিনি রোগীর আত্মীদের অনুরোধ করেছিলেন, যাতে তাঁরা এমার্জেন্সি রুমে ঢোকার আগে বাইরেই নিজেদের জুতো ও চটি খুলে রেখে খালি পায়ে ভিতরে ঢোকেন।
অভিযোগ, এতেই ক্ষেপে যান রোগীর সঙ্গে আসা তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা ওই চিকিৎসককে ধরে পেটাতে শুরু করেন। শনিব🐓ার এই ঘটনাটি ঘটে গুজরাতের ভবনগরের সিহোর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মহিলা মাথায় আঘাত পেয়ে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। আহত মহিলাকে সঙ্গে সঙ্গে এমার্জেন্সি রুমে নিয়ে যাওয়ার পর তারপরই ঘটে যায় এই ঘটনা। যার পুরোটায় বন্দি হয়েছে ঘটনাস্থলে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায়।
হাসপাতালের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ডাক্তার পেটানোর🉐 ঘটনায় তিন😼 অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় বন্দি যে ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে💜 দেখ🐬া যাচ্ছে - জরুরি বিভাগের ভিতর একটি শয্যায় শুয়ে রয়েছে এক প্রৌঢ়া। তাঁকে ঘিরে রয়েছেন বেশ কয়েকজন যুবক।
এরপর সেই সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়দীপসিংহ গোহিল সেখানে ঢোকেন। তিনি রোগীর আত্মীয়দে🐻র চটি, জুতো খুলে আসতে বলেন। এতেই ঝা♏ঁঝিয়ে ওঠেন রোগীর সঙ্গে আসা এক যুবক। পালটা কড়া গলায় জবাব দেন ওই চিকিৎসকও।
এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ ཧশুরু হয়। মুহূর্তে চিকিৎসকের উপর হামলে পড়েন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। তাঁকে মাটিতে ফেলে টানাহ্যাঁচড়া করা হয়। চলতে থাকে ꧃মারধর।
এর জেরে জরুরি বিভাগে থাকা ওষুধপত্র ও অন্য়ান্য দরকার❀ি চিকিৎসা সরঞ্জাম মেঝেয় ছড়িয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে আহত মহিলা পর্যন্ত শয্যা ছেড়ে উঠে পড়েন। তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেন দুই পক্ষকে থামাতে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত নার্সিং স্টাফরাও ছুটে আসেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা হলেন, হীরেন দঙ্গর, ভবদীপ দঙ্গর এব🎶ং কৌশিক কুবদ্যিয়া। তাঁদের বিরুদ্ধে ১১৫ (২), ৩৫২, ৩৫১ (৩)-সহ ভারতীয় ন্য়ায় সংহিতার আরও অন্য়ান্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ꦦঘটনার তদন্ত চলছে।