আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় গোটা বাংলা তোলপাড় হܫয়ে গিয়েছে। সরকারি হাসপাতালে ঘুঘুর বাসা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা ꦆপ্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। তার জেরেই ৪১ দিন ধরে চলছে কর্মবিরতি। রাজ্য সরকারের কাছে নানা দাবি রাখতে শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দফায় দফায় বৈঠক চলছে নানা দিনে–রাতে। অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করেছে পুরনো দিনের নিয়মকানুন নিয়ে। এবার এই বিষয়টি শুধু সরকারি স্তরে আটকে না রেখে বেসরকারি ক্ষেত্রে করা হোক বলে সোচ্চার হলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।
আজ, বৃহস্পতিবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ পোস্ট করে একদিকে কিছু চিকিৎসক এবং অপরদিকে বেসরকারি হাসপাতালের কার্যকলাপ নিয়ে সোচ্চার হন। মানুষের জীবনে চিকিৎসার খরচ এত বেশি কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। অনেকে বলছেন কুণাল ঘোষ মৌচাকে ঢিল মেরেছেন। কারণ সিস্টেম ন🌌িয়ে তিনি সরব হয়েছেন। যদি সরকারি হাসপাতালের সিস্টেম নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা সোচ্চার হতে পারেন তাহলে সেটা বেসরকারি–সহ সর্বত্র কেন করা হবে না? এটা কুণালের প্রশ্ন। যা নিয়ে এখন তোলপাড় হয়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতি।
আজকে কুণাল ঘোষ সিবিআই দফতরেও আসেন। যদিও তাঁকে সিবিআই তলব করেনি। তাহলে কেন এলেন তিনি? সূত্রের খবর, তাঁর কাছে কিছু তথ্য আছে। সেগুলি সিবিআই তদন্তকারীদের দিয়ে তিনি সাহায্য করতে এসেছেন। আজ সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে তলব করার জেরে সিবিআই দফতরে আসেন। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে সাড়া দিয়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু কুণাল ঘোষ কোন চিকিৎসকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাইলেন সেটা এক্স হ্যান্ডেলে খোলসা করেননি। তবে তিনি যা লিখেছেন তাতে হস্তক্ষেপ হলে সাধারণ গরিব মানুষ🐟ের বিরাট উপকার হবে।
আরও পড়ুন: দু’ঘণ্টা পর শেষ হল নবান্নের বৈঠক, মুখ্যসচিবের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের?
গতকালও জুনিয়র ডাক্তাররা নবান্নে গিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তাঁদের আরও দুটি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে সেখানে যে আলোচনা হয়েছে তাতে সরকারি হাসপাতালে সিস্টেমে রদবদলের দাবি রয়েছে। এবার সেটাকেই হাতিয়ার করে সরব হলেন কুণাল ঘোষ। যেসব বেসরকারꦰি হাসপাতাল চিকিৎসার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা মুনাফা করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে সব দোষীর চরম সাজা হোক। সাফাই অভিযান হোক সিস্টেমের সর্বত্র। সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোম, ক্লিনিক, ওষুধ কোম্পানি, ডায়াগস্টি🉐ক সেন্টার, পেসমেকার ও সরঞ্জাম কোম্পানি, বিদেশভ্রমণ, বীমা–সহ সর্বত্র। কেন মানুষের এত খরচ? টাকা যায় কোথায়? বিল বাড়ে কেন? ( কিছু ডাক্তার এতে নেই)।’