পুলিশ কনস্টেবলের নাক, কান এবং ঠোঁট কেটে ফেললেন এক ব্যক্তি। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের এই ঘটনার কারণ শুনে চমকে উঠছেন তদন্তকারীরা। অভ💮িযুক্ত জানান, তাঁর স্ত্রীকে ভিডিয়ো দেখিয়েব্ল্যাকমেইল করতেন ওই পুলিশকর্মী। তাঁর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করতে বাধ্য করার অভিযোগ তোলেন তিনি। স্ত্রীকে রক্ষা করতে রাগের বশে এমনটা করেছেন বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
লাহোর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার 🐓দূরে ঝাং জেলা। অভিযুক্তের নাম মুহম্মদ ইফতিখার। রবিবার বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে দল বেঁধে কনস্টেবল কাসিম হায়াতের উপর চড়াও হন তাঁরা। পুলিশি রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই পুলিশকর্মীর উপর গুরুতর নির্যাতন চালান তাঁরা। এরপর ধারাল অস্ত্রের কোপে তাঁর নাক, কান এবং ঠোঁট কেটে ফেলা হয়।
মোট ১২ জন মিলে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ওই পুলিশকর্মীর বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করা হয়। তারপর একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে ফেলা হয়। তার আগে মারাত্মক নির্যাতন চ🐽ালানো হয়েছে, বললেন পুলিশের এক আধিকারিক।
গুরুতর অবস্থায় ওই কনস্টেবলকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়๊া হয়। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন যে, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গত মাসে, ইফতিখার ওই কনস্টেবলের ﷺবিরুদ্ধে পাকিস্তান দণ্ডবিধির (PPC) ৩৫৪ (নারীর উপর হামলা), ৩৮৪ (চাঁদাবাজি) এবং ২৯২ (পর্নোগ্রাফি)꧒ ধারায় মামলা দায়ের করেছিলেন।
সেই অভিযোগ পত্রে ইফতেখারের দাবি, হায়াত তাঁর স্ত্রীকে তাঁদের ছেলেকে হত্যার হুমকি দিতেন। আর তার মাধ্যমে জোর করে অবৈধ সম্পর্ক করতে বাধ্য করেছিলেন। ইফতেখারের আরও অভিযোগ, যখন তাঁর স্ত্রী হায়াতের সঙ্গে দেখা করেন, তখন তিনি তাঁকে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করেন। সেই সময়ে তিনি একটি ভিডিয়ো করে নেন। পরে সেটা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে♔ ব্ল্যাকমেল করা শুরু করেন।
পুলিশ🔴 জানিয়েছে, ইফতেখার ও তাঁর সহযোগীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত তাঁদের কোনও হদিশ মেলেনি।