বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে ক্রমেই উত্তেজনা বেড়েছে। তাইওয়ানকে ঘিরে চিনা গতিবিধি বৃদ্ধির জেরে আরও একটি যুদ্ধের আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বকে। এই আবহে জো বাইডেন এদিন জাপানে অবতরণ করেই চিনকে তাইওয়ান নিয়ে সতর্ক করে 𓂃দেন। স্পষ্ট ভাষায় বাইডেন জানান, দ্বীপরাষ্ট্রে যদি চিন হামলা চালায় তাহলে সেটি রক্ষা করবে আমেরিকা। তবে বাইডেনের এই উক্তির নেপথ্যে রয়েছে একটি ৫৭ মিনিটের অডিয়ো ক্লিপ। সম্প্রতি ইউটিউবের একটি চ্যানেলে এই অডিয়োটি আপলোড করা হয়। এবং পরেও তা ভাইরাল হয়ে যায়।
জানা গিয়েছে চিনা বংশোদ্ভূত এক মানবাধিকার কর্মী জেনিফার হেং সম্প্রতি একটি অডিয়ো টুইট করেন। তাতে চিনা সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেಞর কথোপকথন রয়েছে (অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। এই প্রথম টিনা সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতাদের কোনও অডিয়ো ক্লিপ এভাবে ফাঁস হয়েছে। ‘LUDE’ নামক এক ইউটিউব চ্যানেলে এই অডিয়ো ক্লিপ আপলোড করা হয়েছিল। সেই চ্যানেলটির দাবি চিনা কমিউনিস্ট পার্টিরই এক শীর্ষ নেতা জিনপিংয়ের পর্দা ফাঁস করতে এই অডিয়ো ক্লিপ ফাঁস করেন।
তাইওয়ান নিয়ে জিনপিংয়ের সামরিক অভিযানের পরিকল্পনার অভিযানের আন্দাজ অবশ্🧸য পিএলএ-র গতিবিধিতেই বোঝা যায়। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশ ♈সীমা লঙ্ঘন করে আসছে চিনা যুদ্ধবিমান। এই আবহে এই নয়া অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় অস্বস্তিতে বেজিং। এদিকে চিনের তরফে এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
অডিও ক্লিপটি যে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের রেকর্ডিং রয়েছে, তাতে সম্ভবত উপস্থিত ছিলেন গুয়াংডং-এর কমিউনিস্ট পার্টি সেক্রেটারি, ডেপুটি সেক্রেটারি, গভর্নর এবং ভাইস গভর্নর। গুয়াংডং সামরিক অঞ্চলের কমান্ডার মেজর জেনারেল ঝো হে, গুয়াংডং প্রাদেশিক কমিটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ওয়াং শউসিন এবং গুয়াংডং সামরিক অঞ্চলের রাজনৈতিক কমিসার সহ পিপলস লিবারেশন আর্মির শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত 🍌ছিলেন বৈঠকে। এখানেই তাইওয়ানের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে যুদ্ধ শুরুর কথা হয়। বৈঠকে আলোচনা হয় যে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সাধারণ মানুষও যাতে এই অভিযানে অংশ নেয় এর জন্য একটি যৌথ কমান্ড গঠন করা উচিত। সামরিক উৎপাদন নিয়েও কথা হয় বৈঠকে। গুয়াংডং প্রদেশে এই সামরিক অভিযানের অংশ হবে ১.৪ লাখ সামরিক কর্মী, ৯৫৩টি জাহাজ, ১৬৫২টি মনুষ্যবিহীন যন্ত্রপাতি, ২০টি বিমানবন্দর এবং ডক, ছয়টি মেরামত ও জাহাজ নির্মাণের ইয়ার্ড, ১৪টি জরুরি স্থানান্তর কেন্দ্র এবং শস্য ডিপো, হাসপাতাল, রক্তকেন্দ্র, তেলের ডিপো, গ্যাস স্টেশনের মতো সম্পদ ইত্যাদি।