পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হল বদলাপুরে স্কুলছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তের। পুলিশের দাবি, অপর একটি মামলায় তদন্তের জন্য সোমবার গাড়িতে করে অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডেকে পুণেতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আচমকা এক পুলিশ অফিসারের রিভলভার ছিনিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় অভিযুক্ত। পালটা গুলি চালান অপর এক পুলিশ অফিসার। গুলিতে গুরুতর জখম হয় অক্ষয়। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। অক্ষয়ের গুলিতে যে পুলিশ অফিসারও আহত হয়েছেন, তাঁকে♊ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। জখম অফিসার এখন কেমন আছেন, সে বিষয়ে আপাতত পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
অন্য ১টি মামলায় আজ হেফাজতে নেয় থানে পুলিশ
পুলিশ সূত্রে খবর🏅, অক্ষয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে একটি মামলা দায়ের করেছে তার স্ত্রী। সেই মামলায় সোমবার ব꧃িকেল ৫ টা ৩০ মিনিট নাগাদ মুম্বই শহরতলির খারঘরের তালোজা জেল থেকে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় থানে পুলিশের ত্রাইম ব্রাঞ্চ। তদন্তের জন্য গাড়িতে চাপিয়ে বদলাপুরের যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল থানেতে।
আত্মরক্ষার্থে গুলি পুলিশের, পরে মৃত্যু অভিযুক্তের
থানে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মুম্রা বাইপাসের কাছে পুলিশের গাড়ি পৌঁছাতেই এক পুলিশ আধিকারিকের থেকে রিভলভার ছিনিয়ে নেয় অক্ষয়। এক অ্যাসিসট্যান্ট পু⛄লিশ ইনস্পেক্টরকে লক্ষ্য করে দুই থেকে তিন রাউন্ড গুলি চাಌলায়।
ওই পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, আত্মরক্ষার্থে পালটা গুলি চালা🐓য় পুলিশ। গুলিতে গুরুতর জখম হয় অক্ষয়। তড়িঘড়ি তাকে থানের একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিছুক্ষণ পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় অক্ষয়ের। অন্যদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ওই অ্যাসিসট্যান্ট পুলিশ 🦩ইনস্পেক্টরের।
স্কুলের ২ ছাত্রীকে 'যৌন নির্যাতন' অক্ষয়ের
যে স্কুলের দুই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছিল অক্ষয়ের বিরুদ্ধে, সেখানেই সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ করত সে। অভিযোগ উঠেছিল যে শৌচাগার পরিষ্কার ღকরার জন্য গত ১ অগস্ট চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে অক্ষয়কে নিয়োগ করেছিল স্কুল কর্তৃপ🐲ক্ষ। কাজে যোগ দেওয়ার ১০ দিনের মধ্যেই শৌচাগারে দুই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছিল।
উত্তাল হয়ে উঠেছিল বদলাপুর
সেই ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল বদলাপুর। রাস্তা এবং রেলওয়ে স্টেশনে তুমুল বিক্ষোভ হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে মহারাষ্ট্র সরকার। প্রাথমিকভাবে তদন্ত প্রক্রিয়ায় ঢিলেমির জন্য বদলাপুর থানার সিনিয়র পুলিশ ইনস্পেক্টর, অ্যাসিসট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর এবং হেড কনস্টেবলকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করার🅠 নির্দেশ দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস।