২০২১ সালে বাংলাদেশের কুমিল্লায় দুর্গাপুজোর মণ্ডপে হামলায় ঘটনায় অভিযুক্তরা প্রায় সবাই জামিনে মুক্ত। যার জেরে দুর্গাপুজোর মুখে নতুন করে হামলার আশঙ্কায় ভুগছেন কুমিল্লা শহর ও জেলার হিন্দুরা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম BDNews24কে এমনই জানিয়েছেন কুমিল্লা শহরের দুর্গাপূজা উজ্জাপন কমিটির স⛦াধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাশ টিটু। তিনি বলেন, ‘দোষীদের সঠিক বিচার হলে এই ধরণের ঘটনা অনেক কমে যাবে।’
২০২১ সালে দুর্গাপুজো চলাকালীন বাংলাদেশে ব্যাপক হিন্দু বিরোধী হিংসা ছড়ায়। ইসলামি চরমপন্থীরা একের পর এক মণ্ডপ ও ম🔴ন্দিরে হামলা করে। হামলায় মৃত্যু হয় অন্তত ৯ জন হিন্দুর। ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর অষ্টমীর দিন হিংসার সূত্রপাত হয় কুমিল্লা শহরের একটি মণ্ডপে হনুমান মূর্তির হাতে কোর আন রাখা দেখে হিংসা ছড়ায়।🎐 এর পর গোটা বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে একের পর এক হামলা হয়। হামলা রুখতে গিয়ে আহত হন অনেকে। তার মধ্যে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়।
কুমিল্লায় হিংসার ঘটনায় মোট ১২টি মামলা দায়ের করেছিল সেদেশের পুলিশ। তাতে হনুমান মূর্তির হাতে কোর আন রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ইকবাল হোসেন নামে এক যুবককে। ষড়যন্ত্রে যু🥃ক্ত থাকায় গ্রেফতার করাꦅ হয় আরও ৪ জনকে। ২ বছর পার হলেও ১২টি মামলার কোনওটিরই বিচার শেষ হয়নি। গত মার্চে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে সেদেশের পুলিশ। এরই মধ্যে জামিন পেয়ে গিয়েছে ইকবাল ছাড়া বাকি ৪ জন।
সেদেশের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে,🌳 ১২টি মামলার প্রত্যেকটিতে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। ফলে তদন্ಌতপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলা যেতে পারে। কিন্তু বিচারপ্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্তরা জামিনে থাকায় পুজোর মুখে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের মধ্যে।
সেদেশের দুর্গাপূজা উজ্জাপন পরিষদের কুমিল্লা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাশ টিটু বলেন, ‘♔বিচারপ্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় অপরাধীরা নতুন করে অপরাধ করতে উৎসাহিত হবে। আমার বিশ্বাস, সঠিক বিচার হলে দেশে এই ধরণের ঘটনা অনেকটা কমে যাবে। তাই প্রত্যেকটি মামলার দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের সাজার দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘দুর্গাপ൲ুজোর আগে হিন্দুরা শঙ্কা ও আতঙ্কে থাকলেও গত বছর কুমিল্লার প্রতিটি মণ্ডপে সাড়ম্বরে পুজো হয়েছে। এবারও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপুজো কাটবে বলে আশা করি। সেজন্য সব প্রস্তুতি শেষ।’