বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনে হিংসার জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০৫। এরই মধ্যে সেদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত সেখানে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে খবরের চ্যানেলের সম্প্রচার। গতকাল বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় খবরের চ্যানেল 'চ্যানেল ২৪' সম্প্রচারের মাঝেই 'ব্ল্যাকআউট' হয়ে যায়। এদিকে গতকাল থেকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্র ওয়েবসাইট 'প্রথম আলো', 'দৈনিক জনকণ্ঠ', 'দৈনিক ইত্তেফা🀅ক', বিডি নিউজ ২৪-এর ওয়েবসাইটে কোনও আপডেট নেই গত ২৪ ঘণ্টায়। ভিনদেশ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারে বাংলাদেশে কারও কাছে ফোন যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। এরই মাঝে বাংলাদেশের সাংবাদিক মেহেদি হাসানেরও মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে গতকালই পুরো বাংলাদেশে কারফু জারি করে শেখ হাসিনা সরকার। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা নামানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাসপাতাল থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধে কমপᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚক্ষে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র শুক্রবারই মৃত্যু হয় অন্তত ৬০ জনের। এমনিতে শুক্রবার সকালের দিকেই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় যাবতীয় মিছিল, জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পুলিশ। তা সত্ত্বেও বাংলাদে💜শের বিরোধী দল বিএনপি ঢাকা প্রেস ক্লাবের কাছে জমায়েতের চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারী ছাত্ররাও রামপুরা, বাড্ডা সহ বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি ছড়ায়।
প্রথম আলোতে দুপুর নাগাদ লাইভ ভ্লগে দাবি করা হয়, তিনজনের মৃত্যু ঘটেছে সংঘর্ষে। এর কিছু পর থেকে প্রথম আলোর ওಌয়েবসাইটে আর কোনও আপডেট দেখা যায়নি। পরে এএফপি সূত্রে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৫ হয়েছে। এদিকে বিরোধী বিএনপি এবং নিষিদ্ধ জামাতের সশস্ত্র কর্মীরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হিংসা ঠেকাতে শুক্রবার রাতে কার্ফু জারি হয় বা🔴ংলাদেশ জুড়ে। জানা যায়, গভীর রাতেই বাংলাদেশ সেনা মোতায়েন করা হয় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়।
পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে গতকাল ২৬০ জন ভারতীয় প൲্রবেশ করেছেন এদেশে। ওদিকে মেঘালয় দিয়েও ভারতীয়দের দেশে ফেরার চেষ্টা জারি আছে। এই আবহে এখনও পর্যন্ত মেঘালয়ের দকি চেকপোস্ট দিয়ে ৪০৫ জন ভারতীয় পড়ুয়া এদেশে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কন🧸রাড সাংমা। এদিকে কুমিল্লায় অবস্থিত ইস্টার্ন মেডিক্যাল কলেজ নামক এক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা ১২৭ জন ভারতীয় পড়ুয়া বাসে করে আগরতলা সীমান্তে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গিয়েছে।