বাংলাদেশের চট্টগ্রাম নগরে একটি পুজো মণ্ডপে ইসলামি সংগীত পরিবেশন নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে এই অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশܫ। সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লেন দুপক্ষের আইনজীবীরা। শেষ পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে এজলাস থেকে নেমে যান বিচারক। যদিও পুলিশি হেফাজতের আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক। আজ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার𓂃্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পুজোয় ৩৫টি অপ্রীতি🌳কর ঘটনা, নেওয়া হয়েছে পদক্ষেপ, জানালেন IGP
সোমবার মামলার শুনানি ছিল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস🃏্ট্রেট আদালতে। পুজো মণ্ডপে ইসলামি সংগীত পরিবেশনের অভিযোগে ধৃত দুজনকে প🐬ুলিশ হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই মামলারই শুনানি ছিল এদিন আদালতে। তবে শেষমেশ পুলিশের আবেদন গ্রহণ করেনি আদালত। আজ মঙ্গলবার ধৃতদের জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজো মণ্ডপে ইসলামি সংগীত পরিবেশনের অভিযোগ উঠতেই গত বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিౠয়ে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। তাদের নাম হল- শহিদুল করিম এবং নুরুল ইসলাম। দুজনেই হলেন মাদ্রাসার শিক্ষক। তাদের পক্ষে আইনজীবীরা পুলিশে হেফাজত বাতিলের জন্য আবেদন করেন।
অন্যদিকে, সহকারি আইনজীবীরা তাদের জামিনের বিরোধিতা করে পুলিশ হেফাজত চেয়ে আবেদন জানান। সেই সময় দুই পক্ষের আইনজীবী বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে ꦅপড়েন। সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের পক্ষে মামলা লড়ছেন আইনজীবী শামসুল আলম। তিনি আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেলরা স্বেচ্ছায় পুজো মণ্ডপে যাননি। তাদের পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্ত আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই কারণে তাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন। আর মঞ্চে ওঠার আগে তাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, পুজো মণ্ডপের তরফে মামলা করেন সুজন দাস ছাড়াও আরও কয়েকজন আইনজীবী। তাঁরা অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতের পক🔜্ষে সওয়াল করেন। তারা অভিযোগ 𝔉তোলেন, এভাবে পুজোর অনুষ্ঠানে ইসলামি সংগীত পরিবেশন করে তারা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন।
উল্লেখ্য, গ🅘ত শুক্রবার নগরের কোতোয়ালি থানায় মহানগর পুজো কমিটির অর্থ সম্পাদক সুকান্ত বিকাশ মহাজন মামলা করেন। তাতে কমিটির যুগ্ম সম্পাদক (বহিষ্কার করা হয়েছে) সজল দত্ত, চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সদস্য শহিদুল করিম, নুরুল ইসলাম, আবদুল্লাহ ইকবাল, মহম্মদ রনি, গোলাম মোস্তফা, মহম্মদ মামুনসহ ৭ জনের নামে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গা পুজো উপলক্ষে জেএমসেন হল প্রাঙ্গণে মহানগর পুজ𒉰ো কমিটি সন্ধ্যার পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশিষ্ট লোকজন পুজো মণ্ডপে আসেন। সেখানেই ওই দুজন গিয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ৬ সদস্য দুর্গা পুজোর মঞ্চে দুটি গান পরিবেশন করেন। এর মধ্যে একটি গান ছিল ইসলামিক। অভিযোগ ওঠে তারা জামায়াতে ইসলামির সমর্থক। এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে বাংল♊াদেশ।