আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। তবে বিরোধীরা এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে। তাদের বক্তব্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করাতে হবে। কিন্তু, নির্বাচন কমিশন পিছু হটতে রাজি নয় তাই নির্বাচনের সময় দেশটিতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এবিষয়ে সবরকমভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে সেনাবাহিনী। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করার পর একথা জানান, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহ▨িনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি জানিয়েছেন, দেশে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের জন্য কমিশনের তরফে সেনাবাহিনী মোতায়নের কথা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির হরতাল অবরোধের ম🎶ধ্যেই বাংলাদেশে নির্বাচনের কাজ চলছ🃏ে পুরোদমে
ইতিমধ্যেই দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক সেরে ফেলেছেন। তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১৩ দিন ধরে সারা দেশের সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। যদিও দেশটিতে নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েন এই প্রথম নয়। এর আগের নির্বাচনগুলিতেও একইভাবে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হয়েছিল বলে নির্বဣাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম জান💎ান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ মেনে নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী বাহিনীর সাহায্য চেয়েছে। এরপর বাহিনী মোতায়েনের জন্য রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে। কারণ তিনি এই বাহিনীর প্রধান।
এদিকে, এই নির্বাচনের বিরোধি💫তা করে নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিরোধীরা। এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনার বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, বিরোধীরা বৈঠকে বসতে রাজি হননি। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলিকে সংঘাত ও সহিংসতা এড়িয়ে সমাধান খোঁজার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘পারস্পরিক প্রতিশোধ, অবিশ্বাস ও আস্থার অভাব পরিহার করে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য ও সমাধান পাওয়া অসম্ভব নয়।’ একইসঙ্গে তিনি ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আবেদন জানিয়েছেন।