বিশ্বের বহু দেশের দূতাবাসই নেই বাংলাদেশে। সেক্ষেত্রে নিয়ম রয়েছে সেই সব দেশে দীর্ঘমেয়াদি অবস্থানের জন্য ভিসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের নিকটতম দেশ হিসাবে ভারতের সাহায্য নিতে হয়। এই ক্ষেত্রে ভারতীয় ট্রাভেল ভিসার প্রয়োজন পড়ে তৃতীয় দেশের ভিসাপ্রার্থী বাংলাদেশিদের। তবে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার সময়কাল থেকে বাংলাদেশের টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের তরফে বাংলাদেশিদের জন্য আপাতত ট্রাভেল সহ বেশ কিছু ভিসা বন্ধ রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশে বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌসিফ হ꧋াসান বলেন, ভারতের ভিসা পাচ্ছেন না, এমন তৃতীয় দেশের ভিসা প্রার্থীদের জন্য দিল্লির পরিবর্তে বিকল্প হিসাবে পাকিস্তান, ভিয়েৎনাম, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ থেকে ভিসা গ্রহণের 🐻সুবিধার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।
এদিকে, তৌসিফ হাসানের বক্তব্যের পরই ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্যের নিরিখে বলেছেন, বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য ভারতীয় ভিসা খুব শিগগির চালু হচ্ছে না। শুধু যাঁদের জরুরি প্রয়োজন তাঁদের ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। প্রণয় ভর্মা জানিয়েছেন, লোকবল কম থাকায় ভিসা নিয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে যাঁদের প্রয়োজন রয়েছে স্বাস🅰্থ্য ক্ষেত্রে, তাঁদের মেডিক্যাল ভিসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ভারতে গিয়ে তৃতীয় কোনও দেশের জন্য ভিসার আবেদন যাঁরা করছেন, তা🏅ঁদের ভিসার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
ভারতের ভিসা ঘরে জটিলতা থাকায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা✤র প্রেক্ষিতে তৌসিফ হাসান বলেন,'যেসব বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর এখন তৃতীয় দেশের ভিসা পেতে ভারতে যেতে হবে, তারা ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া বা পাকিস্তানের মতো বিকল্প জায়গা থেকে তাদের ভিসা পেতে পারে।' বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এই বিষয়টি নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যেন তৃতীয় দেশের ভিসা ভারতের পরিবর্তে অন্য কোনও প্রতিবেশি দেশ থেকে সংগ্রহ করতে পারেন সে বিষয়ে কাজ চলছে।