আবার আশঙ্কার মেঘ। তাও আবার সরাসরি লোভনীয় মুখের খাবারে। আর সেই খবর সামনে আসতেই মুখ ব্যাজার হয়ে গিয়েছে ভোজনরসিক বাঙালির। অনেক টালবাহানার পর দুর্গাপুজোর আগে ভারতে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দিয়েছে মহম্মদ ইউনুসের সরকার। তাতে বাঙালি হৃদয় আন্দোলিত হয়ে ওঠে। খুশিতে ডগমগ হয়ে ওঠেন অনেকে। পদ্মার ইলিশ পাতে নিয়ে শারদোৎসব পৃথক আনন্দ যোগ করে। সেখানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ইলিশ মাছ রফতানি করার অনুমতি দিতেই সেখানে এটার বিরোধিতা কর✃া শুরু হয়েছে। ইলিশ মাছ রফতানি বন্ধ করতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
পদ্মার ইলিশ মাছ যাতে এপার বাংলায় না আসে তার জন্য মাহমুদুল হাসান নামের এক আইনজীবী রবিবার নোটিশ পাঠিয়েছেন। ২০২৪ সালের দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ আসবে কিনা সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তারপর যখন শোনা গিয়েছিল ওপার বাংলা থেকে এপারে পদ্মার ইলিশ আসবে তখন গৃহস্থদের মনে আনন্দঘন মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল। কারণ ইলিশ মাছ রফতানির অনুমোদন দিয়েছে মহম্মদ ইউনুসের সরকার। বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানান, ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়ে🍌ছে বাণিজ্য মন্ত্রক। ভারতের বিশেষ অনুরোধে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দু’বছর পর বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী, কেষ্ট ফিরবেন দিদির কাছে!
এদিকে এই আগের পরিস্থিতি যে কোনও মুহূর্তে পাল্টে যাবে তা কেউ ভাবেননি। তবে আবার অনিশ্চয়তার মেঘ এসে ভিড় করল। আজ, রবিবার ইলিশ রফতানি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে নোটিশ পাঠিয়েছেন মাহমুদুল হাসান। বাণিজ্য সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি–রফতানি কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রকের কাছে এই আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। এই নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এই নোটিশ মানা না হলে বাংলাদেশ হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। মাহমুদুল জানান, ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমতির ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এই আইনি নোটিশ তিনি পাঠিয়েছেন।