শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র নিয়ে রহস্য নিয়ে বাংলাদেশ জুড়ে চর্চা। এরই মাঝে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে উত্তাল হয় একদল শিক্ষার্থী। এদিকেꦦ, সেই বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশে এবার আরও এক রাজনৈতিক দোলাচল। বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবার নিষিদ্ধ করল ছাত্রলিগকে। উল্লেখ্য, এই ছাত্র লিগের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান। হাসিনাদের আওয়ামি লিগেরই একটি ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসাবে দেখা হয় এই ছাত্রলিগকে।
বুধবার সন্ধ্যাতেই, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি এক সাংবাদিক সম্মেলন করে ছাত্রলিগকে নি🗹ষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানায়। কয়েক ঘণ্টা গড়াতেই না গড়াতে ছাত্রলিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। এর আগে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি, সরকারের কাছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় এই ছাত্রলিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য। সেই ডেডলাইনের আগেই ইউনুস সরকার নিল কড়া পদক্ষেপ। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার সময় জানানো হয়েছে, গত ১৫ বছরে এই ছাত্রলিগ, গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, হত্যা, নির্যাতন, ছাত্রদের হস্টেলে সিট, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, যৌন অত্যাচারের মতো কাণ্ডে জড়িয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বলছে, এই সম্পর্কে তথ্য প্রমাণ দেশের সমস্ত মিডিয়ার কাছে আছে। সব গণমাধ্যনমেই সেগুলি প্রকাশিত হয়েছে বলেও বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক বলছে, কিথু সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সংগঠনের নেতা কর্মীদের অপরাধও আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।
( Yogi-Bhagwat Meet: উপনির্বাচনের আগে R🌟SS প্রধান ভাগবতের সঙ্গে মথুরায় র♕ুদ্ধদ্বার বৈঠক যোগীর, নজরে কি মিশন ২০২৭?)
যে বিবৃতি ইউনুস সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষন্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে, আন্দোলনরতদের উপর ও সাধারণ জনগণের উপর বেপরোয়াভাবে সশস্ত্রভভাবে আক্রমণ করেন ছাত্রলিগের নেতাকর্মীরা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শতশত নিরাপরাধ, শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের ওপর হামলা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের দাবি, ৫ অগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্রলিগ, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উস্কানিমূলক, সন্ত্রাসীকর্মকাণ্ড চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ ক্ষমতাবলে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা 🌺হয়েছে। উল্লেখ্য, সদ্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, তাঁর কাছে এমন প্রমাণ নেই, যেখান থেকে তিনি বলতে পারেন, গত অগস্টে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় শেখ হাসিনা পদত্যাগ পত্র দিয়ে ছিলেন কি না। তার🏅পরই হাসিনা বিরোধী সংগঠনের তরফ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়।