'মুক্তিযুদ্ধে জয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হল বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠতম অর্জন।' আজ বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'লাখ লাখ বীর যোদ্ধা যেভাবে নিজেদের রক্ত দিয়ে▨ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা করেছেন, তা সকলকে জানাতে হবে। তবে জাতির সেই অর্জন অর্থবহ হবে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান🦩ি সেনা ভারতীয় সেনাদের কাছে সাদা পতাকা হাতে নিয়ে আত্মসমর্পণ করে। এরপর থেকে প্রতি বছর এই দিনটিকে দু'দেশে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেও প্রতি বছর এই দিনটিকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্য🌱মে পালন করা হয়ে থাকে। এবছর সুবর্ণজয়ন্তী হওয়ায় এই দিনটিতে সকাল থেকেই বিশেষ ভাবে পালন করতে দেখা গেছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশ 🐟কীভাবে স্বাধীন হয়েছে এবং কীভাবে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে অত্যাচারিত হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ, সে সমস্ত ইতিবৃত্ত এদিনের ভাষণে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। আর সেই সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন,' ৯ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে এই দিনটিতে বিজয় অর্জন করেছেন বাঙালি। শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই মুক্তিযুদ্ধে সামিল হয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ বাঙালি। তাঁদের অবদান কখনও ভোলার নয়।' তাঁদের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের সকলকে এদিন শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একথা বল🌠তে গিয়ে ইতিহাসের কথা স্মরণ করে বাংলাদেশের আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির সময় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনার জওয়ানরা হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিল। তারপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের শুরু করে দেয় বাংলাদেশ।'
অন্যদিকে, পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে উন্নয়নের জন্য মুজিবুর যেভাবে কাজ করেছিলেন সেই কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। যুদ্ধবিধ্বস্ত রাস্তা, ব্রিজ, রেললাইন, পোর্ট সমস্ত কিছু সচল করে অর্থনীতিতে গতি আনেন। তাঁর কারণে বাংলাদেশে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত হয়। আর আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে পেরেছি।' বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেন, ' বঙ্গবন্ধু যে লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, আমরাও সেই লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশকে আগামিদিনে বিশ্বের দরবারে এগিয়ে নিয়ে যﷺাব।'