📖 চট্টগ্রামে গিয়ে নিখোঁজ হলেন এক হিন্দু ব্যবসায়ী। নিখোঁজ ব্যবসায়ীর নাম উত্তম দাস, বয়স ৩৭ বছর। রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তম দাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা। তিনি শুঁটকি মাছের পাইকারি ব্যবসায়ী। গত বৃহস্পতিবার তিনি কাজের সূত্রে চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন। শুক্রবার থেকে তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা। এই আবহে চট্টগ্রামের কতোয়ালি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। তবে এখনও উত্তম দাসের বিষয়ে কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এই আবহে স্বভাবতই উদ্বিগ্ন উত্তম দাসের পরিবার।
ꦺউত্তম দাসের ভাগ্নে রঞ্জন দাস এই বিষয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ পরিবারের লোকজনের সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল উত্তম দাসের। চট্টগ্রামের একটি হোটেলে তিনি রাত কাটাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন উত্তম দাস। এরপর থেকেই উত্তম দাসের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, উত্তম দাসের সঙ্গে দু'টি দামী আইফোন ছিল। এছাড়াও তাঁর হাতে একটি সোনার ব্রেসলেট এবং আঙুলে সোনার আংটি ছিল।
বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা
๊সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপরে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। মন্দিরে লুটপাট থেকে শুরু করে বাড়িতে হামলা, ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এমনকী পুলিশ এবং সেনার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছিল চট্টগ্রামে। এই সব অভিযোগ অবশ্য মানতে চায়নি বাংলাদেশ সরকার। এই আবহে সম্প্রতি এক রিপোর্টে বাংলাদেশের পুলিশ বলছে, তদন্ত করে দেখা গিয়েছে, সংখ্যালঘুদের হামলার ১২৩৪টি ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মাত্র ২০টি সাম্প্রদায়িক। এর মধ্যে নাকি ১৬১টি হামলার অভিযোগ 'ভুয়ো'। এদিকে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার ১৪৫২টি ঘটেছে ৫ অগস্ট, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগের দিনে। এদিকে পুলিশ বলছে, সংখ্যালঘুদের হামলার ক্ষেত্রে ৫৩টি মামলা রুজু করা হয়েছে। এবং এখনও পর্যন্ত ৬৫ জনকে গ্রেফতার করাহয়েছে। আর ৪ অগস্ট থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় ১১৫টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং ১০০ জনের বেশি জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
🀅আবার সম্প্রতি বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, ৪ অগস্ট থেকে বাংলাদেশে ১৭৬৯টি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার শিকার হয়েছেন সংখ্যালঘুরা। এর মধ্যে মামরা হয়েছে মাত্র ৬২টি ক্ষেত্রে। আর ধরা পড়েছে ৩৫ জন। অপরদিকে সম্প্রতি ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল যে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর ২২০০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভারতের মিডিয়ায় অতিরঞ্জিত তথ্য পেশ করা হচ্ছে। আর সংখ্য়ালঘুদের উপরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেটা মূলত রাজনৈতিক। আর তারইমধ্যে পরপর হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানোর ঘটনা সামনে এসেছে সম্প্রতি।