এপার বাংলার সঙ্গে ওপার বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই ট্যাগ নিয়ে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। তা বলে আত্মিক টান বা রক্তঋণের সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়েনি। আর তাই বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা চলছে। এখন ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় সরাসরি ট্রেন আসে কলকাতা এবং নিউ জলপাইগুড়িতে। এখন দুই দেশের মধ্যে আরও কিছু বাস চালানোর পাশাপাশি আগরতলা পর্যন্ত ট্রেন চালানো𒊎র পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই আরও বেশি করে আসবেন ভারতে। তবে দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ আসেন কলকাতায়। আর ঢাকা থেকে সরাসরি বাস থাকলেও তাঁদের প𝓀্রথম পছন্দ ট্রেন।
এদিকে ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে যে ট্রেনগুলি চলাচল করে সেগুলি হল— মৈত্রী এক্সপ্রেস, মিতালি এক্সপ্রেস এবং বন্ধন এক্সপ্রেস। তবে ঢাকা থেকে কলকাতা আসে মৈত্রী এক্সপ্রেস। মিতালি এক্সপ্রেস সরাসরি চলাচল করে ঢাকা থেকে জলপাইগুড়ি। আর বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল করে খুলনা–কলকাতা রুটে। মিতালি এক্সপ্রেস সপ্ত🌸াহে দু’দিন চলে হলদিবাড়ি এবং চিলাহাটি রুট দিয়ে। প্রত্যেক রবিবার এবং বুধবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে এবং সোমবার ও বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ট্রেনটি ছাড়ে। এবার ঢাকা থেকে আখাউড়া হয়ে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে বলে রেল সূত্রে খবর।
অন্যদিকে ২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশ–ভারতের মধ্যে চলাচলকারী তিনটি ট্রে🅷নেরই ভাড়া বাড়িয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তাতে চাপে পড়েছে দুই দেশের মানুষই। গত নভেম্বর মাস থেকে এই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। ওই ট্রেনগুলির কোচের বিভিন্ন শ্রেণি অনুযায়ী ভাড়া বেড়েছে ৩৫ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। ঢাকা–কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসের এসি স্লিপার ক্লাসের ভাড়া ৪৯০০ টাকা এবং এসি চেয়ার কারের ভাড়া হয়েছে ৩৬০০ টাকা। ঢাকা–নিউ জলপাইগুড়ি মিতালি এক্সপ্রেসের এসি স্লিপার ক্লাসের ভাড়া ৬৭২০ টাকা। আর এসি চেয়ার কারের ভাড়া ৪২৯০ টাকা। আর খুলনা–কলকাতা যাতায়াতের ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেসের এসি স্লিপার ক্লাসের ভাড়া ২৯৫০ টাকা করা হচ্ছে। আর এসি চেয়ার কারের ভাড়া ২৩০০ টাকা।
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের একটাই নীতি, কংগ্রেসের দুটো’, জোট হচ্ছে না বꦑাংলা🌌য় অকপট অভিষেক
তবে এই ভাড়া বেড়ে যাওয়া নিয়ে চাপে পড়েছেন পদ্মাপার এবং গঙ্গাপারের মানুষজন। এখানে একদিকে যেমন মানুষজন সফর করতে আসেন, তেমনই অনেকে আসেন চিকিৎসার কারণেও। সুতরাং ভাড়া বাড়লে পকেটে চাপ তো পড়বেই। তবে ঢাকা থেকে কলকাতা আসা পর্যন্ত বাস সার্ভিস রয়েছে। আরও তিনটি আন্তর্জাতিক রুটে বাস চালাতে চাইছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন (বিআরটিসি)। বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান মহম্মদ তাজুল ইসলাম এই বিষয়ে জানান, ঢাকা–শিলিগুড়ি–ঢাকা, ঢাকা–চট্টগ্রাম–ঢাকা–কলকাতা এবং কক্সবাজার–চট্টগ্রꦯাম–আগরতলা এই তিনটি রুটে শীঘ্রꦕই বাস চালু করা হবে।