ধ্বংসাত্মক আকার ধারণ করেছে মারণ ভাইরাস। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে এ রাজ্যে। সাধারণত ব্যাঙ্কে নানা কাজের জন্য প্রতিনিয়ত প্রচুর গ্রাহকরা ভিড় করেন। আগেও সেখান থেকেই এই ভাইরাস ঢুকে পড়েছিল ব্যাঙ্কের অন্দরে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যাতে একই পথে ঢুকে পড়তে না পারে, সেজন্য আগল দেওয়ার ব্যাবস্থা করল ব্যাঙ্কগুলো। করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে এবার ব্যাঙ্কের কাজের সময় কমানোর পাশাপাশি বুনিয়াদি পরিষেবাগুলি চালু রাখার পরামর্শ দিয়েছে ব্যাঙ্ক সংগঠনগুলি। যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ যাতে ব্যাঙ্ককর্মীদের কাজের সময় সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে দুপুর ২টো পর্যন্ত করা হয়, এই বিষয়ে ‘স্টেট লেভেল ব্যাঙ্ক কমিটি’ (এসএলবিসি)—র কাছে একটি চিঠি লিখে অনুরোধ জানিয়েছে ব্যাঙ্ক সংগঠন এআইবিইএ ও আইবিএ।সেই চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছে, যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে আমরা অর্থনৈতিক কাজকর্ম নিয়ে উদ্বেগে রয়েছি। সেজন্য ব্যাঙ্কের বুনিয়াদী পরিষেবা যেমন, আমানত গ্রহণ, নগদ টাকা তোলা, টাকা পাঠানো ও সরকারি ব্যবসা, এই চারটি বাধ্যতামূলক পরিষেবা অব্যাহত রাখতে হবে ব্যাঙ্কগুলিকে। এছাড়াও প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ব্যাঙ্ক কমিটিগুলো, তাদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরই অতিরিক্ত কি পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে তার সিদ্ধান্ত নেবে। তাছাড়া করোনার চেন ভাঙতে রাজ্য যে গাইডলাইন জারি করেছে, সেই মতোই ব্যাঙ্কগুলিকেও রাজ্য ও জেলাগুলির করোনা বিধি অনুসরণ করতে হবে।এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের আকারের উপর ভিত্তি করে ৫০ শতাংশ ব্যাঙ্ক কর্মীদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কাজের জন্য ডাকা যেতে পারে বা বাড়িতে বসেই কাজ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক কমিটি কাজের সময় কমিয়ে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেমন বিহারের ব্যাঙ্ক কমিটি বলেছে যে, গর্ভবতী মহিলা বা শারীরিক প্রতিবন্ধী কর্মীরা বাড়ি থেকেই কাজ করবেন।এই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে, ব্যাঙ্ক কমিটিগুলো চিফ মেডিক্যাল অফিসার ও অন্যান্য বরিষ্ঠ সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তুলে অফিস প্রাঙ্গণে বা রাজ্যের প্রোটোকলের মধ্যে কোনও উপযুক্ত জায়গায় কর্মীদের জন্য টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে।উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল ব্যাঙ্ক সংগঠন আইবিএ একটি বিশেষ ম্যানেজিং কমিটির সভার আয়োজন করেছিল। সেখানে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, ব্যাংকগুলিতে গত বছর জারি করা ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি’ (এসওপি)—র উল্লেখিত পদক্ষেপগুলি ছাড়াও আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে হতে পারে।