💯নতুন কার্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে মাস্টারকার্ডের উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এর ফলে লেনদেনের ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়তে পারে। জটিলতার সম্মুখীন 𝓡হতে পারে ব্যাঙ্কগুলি। এমনটাই জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই বেসরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিক।
যে ব্যাঙ্কগুলি পুরোপুরি মাস্টারকার্ডের উপরেই নির্ভরশীল তাদের এখন ভিসা বা স্বদেশীয় RuPay-এর সিস্টেমে আসতে হবে। আর তাত𝓡ে অন্তত দুই মাস সময় লাগবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
গত বুধবার মাস্টারকার্ডের উপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বলা হয়, আগামী ২২ জুলাই থেকে ভারতে নতুন ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করতে পারবে না মাস꧑্টারকার্ড। নতুন প্রিপেড গ্রাহকদেরও কার্ড দিতে পারবে না সংস্থা।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতিভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে মাস্টারকার্ড এশিয়া/প্যাসিফিক-এর উপর। পেমেন্ট 𓃲সিস্টেমস ডেটা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
ঘোষণায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, 'যথেষ্ট সময় ও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর পরেও সংস্থাটি পেমেন্ট সিস্টেমের ডেটা স্টোরেজ সংক্রান্ত নিয়মাবলী পালনে ব্যর্থ হয়েছে।' ২০১৮ সালে আরবিআই এই নীতি চালু করে।👍 এরপর বারবার সতর্ক ꦐকরা হয়েছিল মাস্টারকার্ডকে।
বৃহস্পতিবার ব্রোকারেজ নোমুরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাস্টারকার্ডের বিধিনিষে🥃ধ তিনটি ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারী সংস্থার ক্ষেত্রে চাপের বিষয় হতে পারে। সেগুলি হল, আরবিএল ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক এবং 🎉বাজাজ ফিনসার্ভ। এদের পুরো ক্রেডিট কার্ড সিস্টেমই মাস্টারকার্ডের উপর নির্ভরশীল।
অন্যদিকে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ৬০% কার্ড মাস্টারকার্ডের উপর নির্ভরশীল। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙꩲ্কের ক্ষেত্রে এটি ৩৫-৩৬%। তবে, আরবিআই-এর নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক গত ডিসেম্বর থেকে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করতে অক্ষম। ফলে খুব বেশি প্রভাব পড়ার কথা নয়।
ভিসা এবং মাস্টারকার্ডের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি আর্থিক লেনদেনের সিস্টেমের ক্ষেত্রে ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলির মাধ্যমেই কোটি কোটি লেনদেন হয়। এক ব্যাঙ্ক আধিকারিকের কথায়, 'এক্ষেত্রে হয় তো জরিমানাই নিষেধাজ্๊ঞার তুলনায় বেশি উপযুক্ত হত। হঠাৎ করে এমন পদক্ষেপ কেবল ব্যাঙ্কের জন্যই নয়, গ্রাহকদের জন্যও অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে।' তিনি বলেন, 'স্থগিতাদেশ দিলেও আরবিআই অন্তত ছয় মাসের সময় দিলে ভালো হত। এতে ব্যাঙ্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি সুষ্ঠভাবে ট্রানজিশনের সুযোগ পেত।'
▨তবে সমস্যা হল꧒েও এই সিদ্ধান্ত জরুরি ছিল, মত অপর ব্যাঙ্ক আধিকারিকের। তিনি বলেন, 'এটি একটি বৃহত্তর বার্তাস্বরূপ। প্রত্যেককে দেশে ব্যবসা করতে হলে আমাদের নিয়ম-বিধি মেনে চলতে হবে।' তিনি বলেন, 'আরবিআই তো আগে এতদিন অনেক সময় দিয়েছে, নমনীয়তা দেখিয়েছে। হঠাত্ কঠিন সিদ্ধান্ত তো একে বলা যায় না।'
তবে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পদক্ষেপে পৌষ মাস ভিসা এবং রুপে-এর। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ক্রেডিট কার্ডের বাজার ধরে নেবে ভিসা। অন্যদিকে রুপে ডেবিট কার্ডে তাদের বিস্তার বাড়াবে। তাঁদের কথায়, 'ক্রেডিট কা💮র্ডের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির খুব কমই অপশন আছে। তাই আগামী কয়েক মাসে ভিসার বিস্তার অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।'
'অন্যদিকে রুপে ক্রেডিট কার্ডে খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না। কারণ এখনও অনেক আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটে RuPay-এর কার🌠্ড অ্যাকসেপ্ট করে না,' মত ফিনটেক বিশেষজ্ঞ পারিজাত গর্গের।