বন্ধ হোক নির্বাচনী বন্ড। এই দাবিতেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দাখিল করল অ্যাসোশিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটি💃ক রিফর্মস (এডিআর)। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের পেশ করা আর্জিতে বলা হয়েছে, বন্ডের স্বচ্ছতা প্রমাণের আগে পর্যন্ত তার বিক্রি বন্ধ করা হোক। আসন্ন ৫টি বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই আর্জি বেশ তাত্পর্য𒆙পূর্ণ।
পিটিশনে প্রশান্ত জানিয়েছেন, 'আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল ও অসম নির্বাচনের আগে আপাতত বন্ধ হোক নির্বাচনী বন্ড। ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে নির্বাচনী বন্ড ব্যবহার ক🔴রে বেআইনিভাবে টাকা তোলা বন্ধ করতে হবে। তাই নির্বাচনী বন্ডের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে পর্যন্ত তার ব্যবহার বন্ধ করুক সর্বোচ্চ আদালত।'
নির্বাচনী বন্ড কী?
প্রায় ৪ বছর আগে ২০১৭ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি নির্বাচনী বন্ড চꦜালু করেন। নির্বাচনী বন্ড প্রতি আর্থিক ত্রৈমাসিকে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে কেনা যায়। এই বন্ডের বৈশিষ্ট্য হল যে, লোকসভা নির্বাচনের বছরে বন্ড কেনার জন্য অতিরিক্ত ৩০ দিন সময় দেওয়া হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও শর্ত রয়েছে। লোকসভা বা বিধাﷺনসভা ভোটে যে দল অন্তত ১% ভোট পেয়েছে, তারাই এই সুযোগ পাবে।
বি𝓰ভিন্ন মূল্যে মেলে নির্বাচনী বন্ড - ১ হাজার থেকে ১ কোটি পর্যন্ত। কিনতে পারবেন যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা। এরপর সেই বন্ড নিজের ইচ্ছামতো যে কোনও রাজনৈতিক দলকে দিতে পারবেন ক্রেতা। তখন সেই বন্ড ব্যাঙ্ক থেকে ভাঙিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারবে সেই রাজনৈতিক দল। কার থেকে সেই বন্ড গ্রহণ করেছে, তা প্রকাশ করারও কোনও প্রয়োজন নেই সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের।
নির্বাচনী বন্ডের এই অস্বচ্ছ দিক নিয়েই ২০১৭ সালে অরুণ জেটলির বিরুদ্ধে বাজেট অধিবেশনেই প্রতিবাদ করেন বিরোধীরা। সুপ্রিম কোর্টে এর বিরুদ্ধে পিটিশনও দাখিল করা হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে সরকারের যুক্তি শুনতে চাইলে সেখানে বলা হয় যে, এভাবে অনুদান গ্রহণের মাধ্য🎀মে রাজনৈতিক দলগু☂লির লেনদেন আরও স্বচ্ছ হবে।
শুধু বিরোধী রাজনৈতিক দলই নয়। এই বন্ডের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিল নির🎶্বাচন কমিশন এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায়ও। তবুও তার তোয়াক্কা না করেই নির্বাচনী বন্ড চালু রাখে কেন্দ্রীয় সরকার।