দুই যমজ ভাই। কিন্তু তাঁরা একসঙ﷽্গে থাকতেন না। একে অপরের থেকে প্রায় ৯০০ কিমি দূরত্বে তারা থাকতেন। কিন্তু নিয়তির কী ভয়াবহ পরিণতি! কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মৃত্যু হল দুজনের। এই ঘটনার জেরে শোকে পাথর গোটা পরিবার।
একটি ইংরেজি ꦺসংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে সুরাটের বাড়ির ছাদ থেকে এক ভাই পড়ে গিয়েছিলেন। এরপরে তাঁর মৃত্যু হয়। আর আশ্চর্যভাবে অপর ভাই যিনি জয়পুরে থাকতেন তিনিও কোনওভাবে জয়পুরে জলের ট্যাঙ্ক থেকে পড়ে যান। এরপরে মৃত্যু হয় তাঁরও।
দুই ভাইয়ের মধ্যে একজনের নাম সুমের সিং ও অপরজনের নাম সোহান সিং। দুজনের দেহই তাঁদের গ্রামের ꦇশ্মশানে নিয়ে এসে একই চিতায় দাহ করা হয়। ঠিক কী𝕴 হয়েছিল ঘটনাটি?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত🔜্রে খবর, সুমের গুজরাটের সুতোকলে কাজ করতেন। অন্ꦆযদিকে সুহান জয়পুরের শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার জন্য পড়াশোনা করতেন।
এদিকে সুমের ফোনে কথা বলার সময় ছাদ থেকে কোনওভাবে পা পিছলে পড়ে যায়। বুধবার রাতের ঘটনা। এরপর মৃত্যু হয় তার। এদিকে বৃহস্পতিবার সোহানও জলের ট্যাঙ্কের উপর থেকে কোনওভাবে পড়ে যান। এ🦹কজনের মৃত্যু হয়েছে সুরাটে। কয়েকঘণ্টার মধ্যে অপর ভাইয়ের মৃত্যু হল জয়পুরে। কিন্তু কীভাবে এক ভাইয়ের মৃত্যুর পরে অপর ভাইয়ের মৃত্যু হল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
পরিবারের দাবি, দুজনের মধ্যে ছোট থেকেই মিল ছিল। একই ধরনের দেখতে। কিন্তু কর্মসূত্রে ও পড়াশোনার সূত্রে তারা একে অপরের থেকে দূরে থাকতেন।👍 কিন্তু একজনের মৃত্যুর পরেই যেন অলৌকিকভাবে পরপারের ডাক এল অপরজনের কাছে। এ𒈔দিকে পুলিশ প্রথমে ভেবেছিল দ্বিতীয় ভাই আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুলিশের ধারনা তিনি আত্মহত্যা করেননি। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে এক ভাইয়ের মৃত্য়ুর পরে চলে গেলেন অপর ভাইও।
প্রতিবেশীদের মতে, দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রচন্ড মিল ছিল। সুমের পড়াশোনায় ভালো ছিল না। কিন্তু স𝓡ুহান যাতে পড়াশোনা করে এগোতে পারে সেজন্য তিনি নিজে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে সুরাটে কাজ নিয়েছিলেন। সুহানের পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য় তিনি সবরকম উদ্যোগ নিতেন। চাইতেন ভাই যাতে বড় হয়ে শিক্ষক হতে পারে। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হল না। একজনের মৃত্যুর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই পরলোকে পাড়ি দিলেন অপর ভাইও। এটাই কি তবে নিয়তির টান!
এই খবরটি আপ�ꦓ�নি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup