সেনাবাহিনীকে নতুন করে সুসংগঠিত করতে ব্য়াটেল স্কোয়াডকে সুসংহত ব্য়াটেল গ্রুপ হিসাবে পরিণত করা হবে। এমনটাই জানালেন চিফ অফ আর্মি স্টাফ জেনারেল মনোজ পান্ডে। রবিবার তিনি একথা জানিয়েছেন।গোবিন্দস্বামী ড্রিল স্কোয়ারে ৭৫তম আর্মি ডে ইভেন্টে তিনি জানিয়েছেন, ফোর্সকে আরও সুসংগঠিত করার জন্য় আমরা পরিকল্পনা করছি ব্যাটেল স্কোয়াডকে ইন্টিগ্রেটেড ব্য়াটেল গ্রুপে পরিণত করা হবে। এর মাধ্যমে আগামী দিনে যুদ্ধক্ষেত্রে আরও কার্যকরী হবে বাহিনী। তিনি জানিয়েছেন, পুরানো ব্যবস্থাগুলিকে পরিবর্তন করে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।তিনি জানিয়েছেন, মানব সম্পদের যাতে সবরকম ব্যবহার করা যায় সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। লোকবলের তুলনায় প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত আর্মি তৈরি করা হচ্ছে।চিফ অফ আর্মি স্টাফ জেনারেল মনোজ পান্ডে জানিয়েছেন, আমাদের প্রাইমারি ফোকাস হল আমাদের সেনা। যারা সম্পূর্ণভাবে তৈরি রয়েছেন। ভবিষ্যতের যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে তারা তৈরি।আধুনিক অস্ত্রের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, আমাদের নতুন মন্ত্র হল আধুনিকতা কিন্তু সেটা আত্মনির্ভরতার মাধ্যমে।চিফ অফ আর্মি স্টাফ জেনারেল মনোজ পান্ডে জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্প ক্রমেই উন্নতি লাভ করছে। অন্যের সঙ্গে পাল্লাও দিচ্ছে তারা। আগের সেই অংশীদারিত্ব ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে এবার সরাসরি ক্রেতা -বিক্রেতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। নানা ধরনের উদ্যোগ এব্যাপারে নেওয়া হয়েছে।মেড ইন ইন্ডিয়া অস্ত্রের উপর অনেকাংশেই নির্ভর করছে ভারতীয় সেনা। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লকচেইন, কোয়ান্টাম কমিউনিকেশনস, আন ম্যানড সিস্টেম, ডাইরেক্ট এনার্জি উইপন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত এগিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। ভারতীয় সমাধানের মাধ্যমেই দেশ আগামী দিনের যুদ্ধ জয়ের হিম্মত রাখে ভারত। এমনটাই জানিয়েছেন আর্মি চিফ।সেই আগেকার অভ্যাসগুলি ছেড়ে বেরিয়ে আসছে আর্মি। পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ভারতীয় সেনার একটা বড় দিক। জাতীয় লজিস্টিক পলিসির মাধ্যমে ভারত সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি উদ্যোগ তারই একটি অংশ।১৫ জানুয়ারি তারিখটিকে প্রতি বছর আর্মি ডে বা সেনা দিবস হিসাবে পালন করা হয়। ১৯৪৯ সালে এই দিনে ফিল্ড মার্শাল কে এম কারিয়াপ্পা ভারতীয় সেনার প্রথম ভারতীয় কমান্ডার ইন চিফ হিসাবে নিয়োজিত হন। ব্রিটিশ জমানার পরবর্তী হিসাবে তিনি এই পদে স্থলাভিষিক্ত হন। স্বাধীন ভারতে ভারতীয় সেনার পথ চলার ইতিহাসে এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।