স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার বিশেষ অবদান রয়েছে। শুক্রবার আন্দামানের পোর্টব্লেয়ারে গিয়ে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এভাবেই স্মরণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর আগে গত বিধানসভা ভোটের আগেও বাংলার মনীষীদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পাশাপাশি স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরামের জন্মভিটেতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন পোর্ট ব্লেয়ারের সেলুলার জেলে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘যখন আমি এখানে এলাম, তখন আমি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তালিকা দেখছিলাম, যাদের ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত এই সেলুলার জেলে রাখা হয়েছিল। বাংলা ও পঞ্জাবের গর্ব হওয়া উচিত। সবচেয়ে অধিক সংখ্যক স্বাধীনতা সংগ্রামী এই দুই প্রদেশেরই।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি স্বাধীনতা সংগ্রামী সচিন স্যানালের সেলে গিয়েছিলাম ও তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করি। এটা আমার কাছে খুবই আবেগঘন মুহূর্ত। তিনিই বোধহয় একমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামী যাঁকে দু'বার এখানে পাঠাতে হয়েছিল।’ এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে বীর সাভারকারের স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদানের কথা। তিন দিনের আন্দামান সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দ্বীপেও যাওয়ার কথা রয়েছে। আগামী রবিবার আন্দামান পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি আন্দামানের কিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্প বিশেষ করে শহিদ দ্বীপ ইকো–টুরিজ্য ম প্রকল্প, স্বরাজ দ্বীপ ওয়াটার এরোড্রোম প্রকল্পও আকাশপথে ঘুরে দেখার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর। তবে এতকিছুর মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার অবদানের কথা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।