দক্ষিণ আফ্রিকা বা অন্য কোনও দেশে যাত্রার কোনও ইতিহাস নেই। তা সত্ত্বেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন বেঙ্গালুরুর এক চিকিৎসক। এমনটাই জানালেন কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, অপর যে ব্যক্তির শরীরে নয়া প্রজাতির করোনার অস্তিত্ব মিলেছে, সেই দক্ষিণ আফ্রিকান ইতিমধ্যে ভারত ছেড়ে চলে গিয়েছেন।বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, কর্নাটকে দুই ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তির হদিশ মিলেছে। তাঁদের হালকা উপসর্গ ধরা পড়েছে। গোপনীয়তার কারণে তাঁদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। তবে কয়েক ঘণ্টা পরেই কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ৪৬ বছরের চিকিৎসকের শরীরে ওমিক্রনের হদিশ মিলেছে। তাঁর সংস্পর্শে আসা লোকজনদের মধ্যে পাঁচজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। কারও শারীরিক অবস্থা জটিল নয়। সকলেই করোনা টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন। বেঙ্গালুরুর পুর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২২ নভেম্বর ওই চিকিৎসকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পুর কমিশনার গৌরব গুপ্তা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তাঁকে বাড়িতেই নিভৃতবাসে রাখা হয়েছিল। পরে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কোনওরকম যাত্রার ইতিহাস নেই। তিনি স্থানীয় ব্যক্তি। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং সুস্থ হয়ে উঠছেন। কোনও উদ্বেগের কারণ নেই। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ’অন্যদিকে, কর্নাটকেের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৬৬ বছরের এক দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রনের অস্তিত্ব মিলেছিল। একটি বেসরকারি ল্যাব থেকে ‘তিনি করোনা নেগেটিভ শংসাপত্র দেখিয়ে দুবাইয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সংস্পর্শে আসা ২৬৪ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তার মানে তাঁর শংসাপত্র সত্যি হতে পারে।’ বেঙ্গালুরুর পুর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত ২০ নভেম্বর ওই ব্যক্তি বেঙ্গালুরুতে এসেছিলেন। বিমানবন্দরেই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর পাঠানো হয়েছিল জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য। পুর কমিশনার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তাঁর রিপোর্ট হাতে এসেছে। তাতে জানা গিয়েছে যে ওই ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁকে একটি হোটেলে নিভৃতবাসে রাখা হয়েছিল। ২৭ নভেম্বর দুবাই চলে যান।