বিরল এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হল বেঙ্গালুরু মণিপাল হাসপাতালে ডাক্তাররা। হাসপাতালে পেটে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন বছর ৩৮-এর এক ব্যক্তি। এক্স-রে করার পর তার পেটে পাওয়া যায় একটি নেলকাটার। ডাক্তাররা হতবাক হয়ে গিয়েছেন এমন ঘটনায়। ওই ব্যক্তি আট বছর আগে নেল কাটার গিলে ফেলেছিলেন এবং তা তিনি বেমালুম ভুলে যান। কিন্তু, ওই ব্যক্তির পেটে নেল কাটার গেল কী ভাবে? সেই প্রশ্নের উত্তরই খোলসা করেন ৩৮ বছরের রমেশ কুমার (নাম পরিবর্তিত)।দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর সাথে কথা বলার সময় রমেশ কুমার জানান, ' আমার বয়স তখন ৩০ বছর, বাবা-মা আমাকে মদ্যপান ছাড়ানোর জন্য একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে রেখে এসেছিলেন। সেখানে আমি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একটি নেল কাটার গিলে খেয়ে ফেলি। এরপর ওই ঘটনাটি কেন্দ্রের কর্মীদের জানান রমেশ। তারা আমাকে কয়েকটি কলা খেতে বলেন এবং আমি ধরে নিয়েছিলাম বস্তুটি কোনও এক সময় বেরিয়ে গেছে।'রমেশ পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে ফিরে আসার পর তার স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে শুরু করেন। রমেশ বলেন 'নেলকাটার খাওয়ার ঘটনা আমি আমার বাবা মা বা, বোনদের কোনদিনই বলিনি কারণ তারা আমাকে বকাবকি করতে পারে। এমনকি বিয়ের পরেও আমি আমার স্ত্রীকে এই কথা জানাইনি। আমার পেটে কোনও ব্যথা ছিল না এবং আমি এটা সম্পূর্ণভাবেই ভুলে গিয়েছিলাম।'দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর সাথে কথা বলার সময় মণিপাল হাসপাতালের সার্জিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্ট ও অঙ্কোলজিস্ট ডা: লোহিত বলেন, 'এটি আমার দেখা সবচেয়ে বিরল ঘটনার মধ্যে একটি। একটি বড় আকারের নেলকাটার যা প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা ব্যবহার করে, তা ওই ব্যক্তির পেটে ছিল। সফল ভাবে অস্ত্রোপচার করতে পেরে আমরা খুশি।' তবে, ডা: লোহিত আরও একটি আশঙ্কার কথা প্রকাশ করে। তিনি বলেন, 'যদি তিনি কোনও বিমানবন্দরে যেতেন বা এমআরআই স্ক্যান করাতেন, তাহলে মেশিনগুলির চৌম্বকীয় তরঙ্গের দ্বারা রোগীর দেহের অভ্যন্তরে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো।' এই বিরল ঘটনায় বিস্মিত চিকিৎসক মহল থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই।