আগের আইপিসি এবং সিআরপিসির বিধানগুলিকে আরও শক্তিশালী করে নয়া বিচার ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য লোকসভায় গত অগস্ট মাসে ৩টি বিল উত্থাপন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই𒊎 বিলগুলিকে পাঠানো হয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে। সেখানে এই বিলগুলি আলোচনা চলাকালীন বেশ কিছু প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। সেই মতো সংসদীয় প্যানেল প্রস্তাব দিয়েছিল - পরকীয়া, সম্মতিহীন সমকামী যৌনতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হোক। তবে সেই প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয়নি। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সংশোধিত বিলে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়নি পরকীয়া, সম্মতিহীন সমকামী যৌনতাকে।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ জমানার আইনের জায়গায় নয়া বিল আনতে চেয়ে ন্যায় সংহিতার পেশ করা হয়েছিল সংসদে। পরে তা সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে আলোচনার জন্য। আর সেই সময়ই সংসদীয় কমিটি প্রস্তাব দিয়েছিল, নয়া বিলে যেন পরকীয়া, সম্মতিহীন সমকামী যৌনতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার বিধান রাখা হয়। প্যানেলের তরফে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট চূড়ান্ত করে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়। সংসদীয় প্যানেলের প্রস্তাব ছিল, পুরুষ বা স্ত্রী, যেই পরকীয়া করুক না কেন, তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করার জন্য ন্যায় সংহিতায় বিধান যুক্ত করা উচিত। এদিকে কোনও পুরুষের অসম্মতিতে যদি কোনও পুরুষ তাকে যꦇৌন হেনস্থা করে, বা কোনও নারীর অস্মতিতে কোনও নারী জোর করে তাহলে সেটিকেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত বলে মত প্রকাশ করেছিল কমিটি। এমনকী রূপান্তরকামীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে কেউ তাঁর ওপর যৌন হেনস্থা করলে তাও এই বিধানে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত বলে সুপারিশ করেছিল কমিটি। তবে সংশোধিত বিলের খসড়ায় অপ্রকৃতস্থ যৌনতা বꦏা পরকীয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এক ঐতিহাসিক রায়দানের মাধ্যমে সমকামী সম্পর্ককে অপরাধমুক্ত বলে ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ব্রিটিশ জমানার বহু পুরোনো আইনকে প্রত্যাহার করে পাঁচ সদস্যের বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছিল, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার আওতায় দু'জনের পূর্ণ সম্মতিতে সমকাম সম্পর্ক অপরাধ নয়। সেই পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ছিলেন দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। তবে সমকামী সম্পর্ক বৈধ হলেও ভারতে সমকামী বিয়ের আইনি বৈধতা ছিল না এতদিন ধরে। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ নির্দেশনা জারি করে, বিভিন্ন হাই কোর্টে সমকামী বিবাহ সংক্রান্ত যাবতীয় পিটিশন মুলতুবি করে তা শীর্ষ আদালতে পাঠানো হোক। সেই মতো শীর্ষ আদালতে মে মাসে ১০ দিন শুনানি চলে। পরে মামলার রায়দান স্থগিত রাখা হয়। এরপর গত ১৭ অক্টোবর এই মামলার রায়দান হয়। তবে শেষ পর্যন্ত সমলিঙ্গে বিবাহ আইনি বৈধতা পায়নি। শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চের তরফে এই মামলার যে রায় ঘোষণা করা হয়, তাতে ৩ জন বিচারপ🎶তি সমলিঙ্গে বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার বিপক্ষে রায় দেন। অপরদিকে ২ জন বিতারপতি সমলিঙ্গে বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে রায় দেন।