সাপের ছোবল খেয়েছেন। কিন্তু, সেটা যে কী সাপ, তা জানতেন না বিহারের বাসিন্দা প্রಞকাশ মণ্ডল। আর কোন সাপ কামড়েছে, তা ডাক্তারবাবুদের ঠিক মতো বলতে না পারলে, তাঁরাই বা সঠিক চিকিৎসা করবেন কীভাবে?
এই ভাবনা মাথায় আসতেই প্রকাশ যে কাণ্ডে ঘটালেন, তাতে আত্মরাম 𝓰খাঁচাছাড়া হওয়ার উপক্রম হয় হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্য রোগীদের। কারণ, কামড় খাওয়ার পর ভয়ঙ্কর বিষধর সেই সাপ গলায় মাফলারের মতো পেঁচিয়ে সটান হাসপাতালে হাজির হন তিনি!
গত ১৫ অক্টোবর এই কাণ্ড ঘটে বিহারের ভাগলপুরের একটি হাসপাতালে। পরে জানা যায়, 🍰প্রকাশকে যে সাপটি কামড় দিয়েছে, সেটি রাসেল'স ভাইপার প্রজাতির। যা পৃথিবীর সবথেকে বিষধর সাপগুলির মধ🤡্যে অন্যতম।
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?
দ্য হিন্দু পত্রিকায় এই ঘটনা সম্পর্কে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সেই অনুসারে, ৪৮💝 বছরের প্রকাশ মণ্ডল দিনমজুরের কাজ ক🃏রেন। তিনি বিহারের সংশ্লিষ্ট এলাকারই বাসিন্দা। গত ১৫ অক্টোবর অন্য়ান্য দিনের মতোই নিজের বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন প্রকাশ।
সেই সম🏅য়েই কোনওভাবে ওই সাপটি প্রকাশের ঘরে ঢুকে যায় এবং প্রকাশকে ছোবল মারে। তাতে প্রকাশের ঘুম ভেঙে যায়। তিনি বুঝতে পারেন যে ♓ভয়ঙ্কর ব্যাপার ঘটে গিয়েছে। বাঁচতে হলে আগে হাসপাতালে ছুটতে হবে।
কিন্তু, প্রকাশ সাপ চেনেন না। তাঁর চিন্তা হয়, তিনি যদি সাপের পরিচয় ঠিক মতো দিতে না পারেন, তাহলে তো ডাক্তারবাবু তাঁর সঠিক চিকিৎসা করতে পারবেন না। এবং তার ফলে তাঁর মৃত্যু পর্যඣন্ত হতে পারে। তাই আস্ত সাপটিকেই গলায় জড়িয়ে হাসপাতালে হাজির হন প্রকাশ!
এই দৃশ্য দেখে বিহারের জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হুলুস্থূল শুরু হয়ে যায়। রোগীরা ভয়ে ছিটকে যান। তার মধ্যেই কেউ কেউ মোবাইল বের করে ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিং🔯 শুরু করেন।
সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিষের প্রভাবে প্রকাশ কিছুটা মাতালের মতো 💃আচরণ করছেন প্রকাশ। যন্ত্রণায় মুখ দিয়ে আওয়াজও বের করছেন মাঝেমধ্যে। কিন্তু, এই সাংঘাতিক পরিস্থিতির মধ্যেও ডান হাত দিয়ে সেই সাপের মুখ চেপে ধরে রেখেছেন তিনি!
ওই ভিডিয়োতেই দেখা গিয়েছে, প্রকাশের পরনে রয়েছে একটি নীল রঙের লুঙ্গি এবং সাদা স্য়ান্ডো গেঞ্জি। তাঁর ডান 𝓀হাতের উপরের অংশে শক্ত করে বাঁধা রয়েছে একটি কাপড়ের টুকরো। পরে জানা যায়, প্রকাশের ডান হাতের ওই জায়গাতেই সাপটি ছোবল মারে। বিষ যাতে শরীরে বেশি ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তার জন্যই ওই জায়গাটি শক্ত করে বেঁধে নেন তিনি।