বিহারে বিষমদ কাণ্ডে ভয়াবহ পরিস্থিতি। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭০। বিহারের সারান জেলায় ভয়াবহ বিষমদ খেয়ে গত কয়েকদিনে বহু দন অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে🀅 থাকে। এদিকে, অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির লক্ষ্যে ধরপাকড় শুরু করেছে বিহার প্রশাসন।
বিহারে বিষমদকাণ্ডের মাঝেই ইতিমধ্যেই একজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে ট্রেন থেকে। বিহারের কিষাণগঞ্জ জিআরপি জানিয়েছে, ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসে শুকরবার রাতে এক পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে ছোটে শাহ নামের ওই ব্যক্তি সারান🅷 জেলার মারহাউরা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের ধারণা সারানে ১৪ ডিসেম্বর ওই বিষমদ পান করেই এই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মদ্যপানের পর তিনি পটনার রাজেন্দ্রনগর টার্মিনাল থেকে ট্রেন ধরেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেখান থেকেই ট্রেনে চড়ে বিষমদের প্রতিক্রিয়ায় ট্রেনেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ছোটে শাহের কাকা মুন্না জানিয়েছেন, তাঁর ভাইপোর সঙ্গে আরও কয়েকজন ওই বিষমদ পান করেছেন। আর বাকিরা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় মারা যান। এরপরই আসে ছোটে শাহর মৃত্যুর খবর। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, বিহার♛ থেকে অসমের কামাক্ষ্যাগামী ট্রেনে একজনের শারীরিক অসুস্থতা ও অচৈতন্য হওয়ার খবর আসে। এরপর রেল কর্তৃপক্ষ তৎপরতা নিতেই তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। হাসপাতালেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবারই দেখা যায়, বিহারের বিষমদকাণ্ডে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপর মাঝে একদিন পার 🐈হতেই দেখা গেল, সেই মৃতের সংখ্যা ৭০ এ গিয়ে ঠেকেছে। উল্লেখ্য, বিহারে গত ২০১৬ সাল থেকে নিষিদ্ধ রয়েছে মদ্যপান। তারপরও কী করে এই পরিস্থিতি তৈরি হয় তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিহারের বিজেপি। বিজেপি নেতারদের তোপের মুখে বিধানসভায় তোলপাড় শুরু হয়। এদিকে, নীতীশ সরকারের প্রতি তোপ দেগে বিরোধীরা এই ইস্যুতে নানান সওয়াল তুলে ধরে। তারই মাঝে ট্রেন থেকে উদ্ধার মৃতদেহ ঘিরে তোলপাড় বিহারের রাজনীতি।