বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ভারতের নাগপুরে জরুরি অবতরণের পর হাসপাতালে ছিলেন৷ তিন দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর সোমবার তিনি মারা গিয়েছেন৷ ওমানের রাজধানী মাসকাট থেকে ঢাকায় ফেরার পথে গত শুক্রবার আকাশে ‘হার্ট অ্যাটাকের' শিকার হয়েছিলেন তিনি৷ নাগপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর সোমবার সেখানেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে জানান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার উপ মহা ব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার৷ তিনি ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, 'আমরা হাসপাতাল থেকে জানতে পেরেছি, পাইলট নওশাদ মারা গিয়েছেন৷'তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) সভাপতি মাহবুবুর রহমান৷মৃত্যুকালে পাইলট নওশাদের বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর৷ এর আগে পাইলট নওশাদের কাজিন ফারহানা শিফা এক ফেসবুক পোস্টে পাইলটের মৃত্যুর খবর জানান৷ বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুমের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ শুক্রবার ওমানের রাজধানী মাসকট থেকে ঢাকায় আসছিল বিমান বাংলাদেশের উড়ান। তাতে ১২৬ জন যাত্রী ছিলেন। কিন্তু মাঝ-আকাশে পাইলট হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় সকাল ১১ টা ৪০ মিনিট নাগাদ নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। সূত্রের খবর, বিমানটি যখন রায়পুরের কাছে ছিল, তখন জরুরি অবতরণের জন্য কলকাতা বিমানবন্দরের এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নিকটবর্তী নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণের পরামর্শ দেয় কলকাতা বিমানবন্দরের এটিসি। কো-পাইলটই জরুরি ভিত্তিতে বিমানটি সুরক্ষিতভাবে অবতরণ করেন। অবতরণের পর তড়িঘড়ি পাইলটকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যা বিমানবন্দর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাঁর অবস্থা যথেষ্ট সংকটজনক। জরুরি অবতরণের পর শুক্রবার সকালে আর বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে ওড়েনি। রাত ১০ টার পর বিমানটি ঢাকায় উড়ে গিয়েছে।