সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডেকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করা বিতর্কে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন সেখানে। গতরাতে আরও একটি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। টাইমস নাও-কে গতরাতে মহুয়া মৈত্র বলেন, 'হিরানন্দানি আমাকে টাকা দেবে কী, প্রয়োজনে আমি হিরানন্দানিকে টাকা দেব আদানির বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য।' এই আবহে ফের একবার মহুয়াকে আক্রমণ শানালেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মহুয়র বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সংসদীয় এথিক্স কমিটি। প্রথমে ৩১ অক্টোবর মহুয়াকে তলব করা হয়েছিল। তবে কৃষ্ণনগরের সাংসদ জানান, ৪ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ব্যস্ত। তাই ৫ নভেম্বর বা তার পরে যেন তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়। এরপর এথিক্স কমিটির তরফে আরও একটি চিঠি পাঠানো হয় মহুয়াকে। ২ নভেম্বর তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়। এই গোটা বিতর্ক তৃণমূল নীর বথাকলেও এথিক্স কমিটির 'তাড়া' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দল। আর এবার মহুয়াকে পালটা আক্রমণ শানালেন নিশিকান্ত। (আরও পড়ুন: 'এথিক্স কমিটির তাড়া কীসের?' মহুয়া নিয়ে 🤡অবস্থান বদল তৃণমূলের? মুখ খুললেন কুণাল)
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্ট করে নিশিকান্ত দুবে লেখেন, 'কমিটির সামনে হাজিরা দেওয়ার সময় নেই অভিযুক্তের কাছে। তবে মিডিয়াকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য অফুরন্ত সময় আছে তাঁর হাতে।' নিশিকান্ত লেখেন, 'মিডিয়ার সকল শ্রদ্ধেয় বন্ধুদের প্রতি অনুরোধ করছি, লোকসভার এথিক্স কমিটি এই দুর্নীতির তদন্ত করছে এবং অর্থ নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা বন্ধক রাখা হয়েছে। কমিটির সামনে যা এসেছে তা গোপনীꦕয়। অভিযুক্তর কাছে হাজিরা দেওয়ার সময় নেই। কিন্তু মিডিয়ায় সাক্ষাতকার দেওয়ার প্রচুর সময় আছে। আমি কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে সাক্ষাৎকার দিইনি। এটাই সংসদের মর্যাদা। অভিযুক্ত সাংসদের বন্ধু হিরানন্দানিজি হলফনামায় তাঁর বিদেশ যাওয়া, বিদেশে থাকা, মূল্যবান জিনিসপত্র এবং যাতায়াতের খরচ (নগদ) দেওয়ার কথা বলেছেন। এই আবহে এই ঘটনায় কমিটির রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা উচিত। এটা বিরোধী বা নারী-পুরুষের কথা নয়। জাতীয় নিরাপত্তা, দুর্নীতির বিষয় এটা। সংসদের মর্যাদা এবং সংসদ সদস্যদের আচার-আচরণের কথা এটা। দয়া করে সংসদকেই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দিন।'
এর আগে ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নিশিকান্তকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন মহুয়া। তাঁকে 'ঝাড়খণ্ডি পিটবুল' আখ্যা দেন মহুয়া। মহুয়া বলেন, 'তাঁরা ভুল মানুষের সঙ্গে ঝামেলা করতে এসেছে। আমি আমার জীবনের সবকিছু ছেড়ে দিয়ে এখানে এসেছি। আর কোনও ঝাড়খণ্ডি পিটবুল এবং প্রাক্তন ব্যক্তিগত সম্পর্ক আমার শেষ ডেকে আনতে পারে না। আমি সত্যিটা খুঁজে বের করতেই থাকব। ২০২৪ সালে কী হবেಌ, তা দেখতে পারবেন সবাই।' এদিকে 'পিটবুল' আক্রমণের জবাব দিয়েছেন নিশিকান্ত। তিনি অভ൲িযোগ করেন, তাঁকে পিটবুল ডেকে গোটা বিহার এবং ঝাড়খণ্ডকে অপমান করেছেন মহুয়া।