🅷 'টাকার বদলে প্রশ্ন' বিতর্কে আগামী ৩১ অক্টোবর মহুয়া মৈত্রকে তলব করা হয়েছিল সংসদের এথিক্স কমিটির তরফে। তবে মহুয়া জানিয়েছিলেন, ৫ নভেম্বরের আগে তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না। এরপর ফের তলব করা হয় মহুয়াকে। ২ নভেম্বরে কমিটির সামনে হাজিরা দিতে বলা হয় মহুয়াকে। এই আবহে এথিক্স কমিটির 'তাড়া' নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাহলে কি মহুয়াকে নিয়ে অবস্থান বদল করল তৃণমূল? কারণ এর আগে মহুয়া বিতর্কে 'নীরব' ছিল দল। পরে রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেছিলেন, তদন্ত শেষে 'উপযুক্ত ব্যবস্থা' নেওয়া হবে। তবে এবার মহুয়াকে তলব করার 'তাড়া' নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কুণাল।
𒉰এই আবহে কুণাল ঘোষ জানিয়ে দিলেন, মহুয়া ইস্যুতে দল আগের অবস্থানেই অনড়। তবে সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, মহুয়াকে এথিক্স কমিটির সামলে তলব করার নেপথ্যে রাজনৈতিক স্বার্থ কাজ করছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'মহুয়া তো বলেননি যে তিনি যাবেন না। তাহলে এথিক্স কমিটি এত তাড়া দিচ্ছে কেন?' এর আগে মহুয়া চিঠি লিখে এথিক্স কমিটিকে জানিয়েছিলেন, আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ব্যস্ত আছেন। তাই ৫ নভেম্বরের আগে তিনি দিল্লি যেতে পারবেন না। এই আবহে তাঁকে যেন ৫ নভেম্বর বা তার পরে হাজিরা দিতে বলা হয়। যদিও শনিবার নতুন করে চিঠি পাঠিয়ে মহুয়াকে ২ নভেম্বর ডেকে পাঠায় এথিক্স কমিটি।
ꦉএই আবহে কুণালের বক্তব্য, 'মহুয়া ইস্যুতে আগেই ডেরেক ও’ব্রায়েন দলের হয়ে বক্তব্য পেশ করেছেন। দল সেই অবস্থান থেকে সরেনি। তবে এথিক্স কমিটির এত তাড়া কীসের? পুজো সবে শেষ হয়েছে। সাংসদ হিসেবে নিজের কেন্দ্রে অনেক কর্মসূচি থাকতে পারে মহুয়ার। ফের তাঁকে চিঠি দিয়ে তাহলে তলব করা হল কেন? এত তাড়া থাকলে ঘুষকাণ্ডের পর শুভেন্দুকে কেন তলব করেনি এথিক্স কমিটি? সিবিআই এফআইআর করেছে শুভেন্দুর নামে। তাহলে ৬ বছর ধরে কি এথিক্স কমিটি ঘুমোচ্ছিল?' এর আগে পুজোর সময় মহুয়া ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে কুণাল বলেছিলেন, 'যাঁকে নিয়ে এই গোটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তিনি নিজেই এই বিষয়ে বলতে পারবেন। তৃণমূল কংগ্রেস এই নিয়ে কিছু বলবে না।'
ꦰএদিকে সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মহুয়া মৈত্র বলেন, হিরনন্দানির কাছে তাঁর সাংসদ লগইন রয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তিনি উড়িয়ে দেন। মহুয়া জানান, তিনি হিরানন্দানির থেকে দুবাইয়ের লিপস্টিক, আইশ্যাডো, স্কার্ফের মতো মামুলি জিনিসই নিয়েছিলেন। মহুয়া বলেন, 'হিরানন্দানির কাছে আমার সাংসদ লগইন আইডি আছে। তবে এনআইসি লগইনের এমন কোনও নিময় নেই যে অন্য কাউকে তা দেওয়া যাবে না। সংসদের কাছে সেই সব প্রশ্ন আসে। কোনও সাংসদই নিজে সব প্রশ্ন করে না। তাঁর বৃহত্তর দলের কাছে এই আইডি থাকে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমি বিদেশিকে দিয়েছিল লগইন আইডি। হিরানন্দানি আমার বন্ধু ছিলেন। এবং তিনি ভারতীয়। তাঁর পাসপোর্ট ভারতীয়। আমি নিজে সুইৎজারল্যান্ডে থাকাকালীন লগইন করেছি। আমার দিদির সন্তান কেমব্রিজ থেকে লগইন করেছে। সেখানে আমার হয়ে সে প্রশ্ন টাইপ করে দিয়েছে। এনআইসি-র পোর্টাল যদি এতই সুরক্ষিত ছিল, তাহলে অন্য আইপি অ্যাডরেস থেকে লগইন করার ক্ষেত্রে তা ব্লক করে দেওয়া উচিত।'