পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে চারটিতেই সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। আর তারপরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘'আমার আশা, এই জ্ঞানীরা এবারও এটা বলার সাহস পাবেন যে ২০২২ সালের ভোটের ফলাফল থেকেই ২০২৪ সালের নির্বাচনের ফল চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।’ তবে শুধু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনই নয়, আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও স্বস্তিদায়ক জায়গায় পৌঁছতে চলেছে বিজেপি। অঙ্কের নিরিখে, অবিজেপি দ▨লের সমর্থন ছাড়াই রাষ্ট্রপতি পদে নিজেদের মনোনীত প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার জায়গায় থাকতে চলেছে বিজেপি।
যোগী আদিত্যনাথ আবার উত্তরপ্রদেশের কুর্সিতে বসতে চলেছে। উত্তরাখণ্ডেও বিজেপি সফল হয়েছে। একইসঙ্গে মণিপুর ও গোয়ায় কংগ্রেসের আসন কমে গিয়েছে। আর পঞ্জাবে উঠে এসেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। সুতরাং পাঁচ রাজ্যের ফলাফলের নিরিখে তাঁদের প্রার্থীকেই রাইসিনা হিলসে পꦆৌঁছে দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের অঙ্কটি ঠিক কী? এখানে ভোট দেন সাংসদ–বিধায়কেরা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মোট ভোটের মূল্য ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯০৩। আর সংখ্যাগরিষ্ঠতারꩵ জন্য দরকার ৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৫২ ভোট। সেখানে লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে বিজেপির। আগামী ৩১ মার্চ ৬ রাজ্যের ১৩টি রাজ্যসভা আসনে ভোট আছে। এখন সেইসব রাজ্যগুলির বিধানসভার যা সমীকরণ, তাতে পঞ্জাব বাদে বাকি রাজ্যসভার আসন জয়ের ক্ষেত্রে বিজেপি ভালো জায়গায় রয়েছে। এই নির্বাচনের পরে রাজ্যসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা একশো ছাড়িয়ে যাবে। তার ফলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সুবিধা হয়ে যাবে।
এখন বিরোধী শিবির অনেকটাই ধাক্কা খেল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বলে মনে করা হচ্𝄹ছে। পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফলে বিজেপির এখন সেই চিন্তা নেই। বিরোধীরা এখানে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। পরিস্থিতি এখন বিজেপির অনুকূলে🥀। সেক্ষেত্রে বিরোধীরা কোনও অবিজেপি মুখ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য নিয়ে আসতে বেশ ভাবনা চিন্তা করবে। তবে দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কি হয়।