ফের রক্তে ভাসল ওড়িশার ট্রেন লাইন। গতকাল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় জাজপুর কেওনঝড়ꦗ রোড স্টেশনের কাছে মালগাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ জন ন♎ির্মাণ শ্রমিকের। সেই দুর্ঘটনা নিয়ে আজ বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে মর্নিং ওয়াকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জাজপুরের ঘটনাতে 'ইচ্ছামৃত্যু' আখ্যা দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'কেউ যদি মৃত্যুর মুখে যায় তাহলে কি হবে? রেলগাড়ির নীচে কেউ যদি দাঁড়ায় আর ট্রেন চলতে শুরু করে দেয়, তাহলে তো দুর্ঘটনা ঘটবেই। আইন অনুযায়ী রেলের জায়গায় প্রবেশ করলে আপনাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। ওখানে গিয়ে লাইন অতিক্রম করছেন, মানে ইচ্ছামৃত্যু বরণ করছেন। সরকার কি করবে এরজন্য?'
উল্লেখ্য, গতকাল ওড়িশার জাজপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় ৪ শ্রমিকের। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হয়। এখনও এই দুর্ঘট♕নায় গুরুতর আহত এক শ্রমিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভরতি আছে। জানা গিয়েছে, জাজপুর রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল এক মালগাড়ি। আর তার নিচে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন কিছু শ্রমিক। আচমকা চলতে শুরু করে ট্রেন। আর তখনই ঘটে যায় বিপত্তি। ট্রেনের চাকায় পিষে গিয়ে ওই শ্রমিকদের মৃত্যু হয়।
এদিকে এই 𒊎দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে রেলের মুখপাত্র বলেন, 'হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হয়েছিল। শ্রমিকরা রেলওয়ের সাইডিংয়ে কাজ করছিলেন। সেখানে একটি পণ্যবাহী ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল। তারা সেটির নীচে আশ্রয় নে♛ন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সে পণ্যবাহী ট্রেনটির সাথে একটি ইঞ্জিন যুক্ত হয় তখন। এদিকে তারা যখন ট্রেনের তলায় আশ্রয় নেন, তখন ওয়াগনের সঙ্গে ইঞ্জিন যুক্ত ছিল না। পরে সেটি চলতে শুরু করে এবং দুর্ঘটনা ঘটে।' প্রসঙ্গত, বালাসোরের বাহানগা স্টেশনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পার হয়নি। আর এরই মধ্যে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল ওড়িশাতেই।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতই ছিল যে যাত্রীবাহী ট্রেনটির ইঞ্জিন উঠে যায় এক মালগাড়ির ওপর। ট্রেনের অধিকাংশ বগি ছিটকে পড়ে পা𒅌শের লাইনে। এই সময় উলটো দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত বগিগুলিতে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সিগন্যালিং কন্ট্রোল রুমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছে আপ ১২৮৪১ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এই মারাত্মক ভুলের কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। এই লুপ লাইনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসটা না ঢুকলেই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। এছাড়াও প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, সিগন্যালিংয়ের গলদে এই দুর্ঘটনা হয়ে থাকতে পারে।