সুয়েজ ক্যানেলে জাহাজ আটকে পড়ার ঘটনায় মিশরের প্রথম মহিলা শিপ ক্যাপ্টেন মারওয়া এলসলেহডারের নাম সামনে আসে। কিন্তু পরবর্তী🦂কালে জানা যায়, এই ঘটনার জন্য তাঁকে কাঠগড়ায় তোলা হলেও এই ঘটনায় তিনি দায়ী নন। সম্পূর্ণ ভুল তথ্য এটি। এর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মিশরের ওই মহিলা ক্যাপ্টেন। তিনি বলেন, ‘আমি খুবই মর্মাহত।আমার নাম জড়ানো হয়েছে।’
কিছুদিন আগে পণ্যবাহী জাহাজ এম ভি এভার গিভেন যখন সুয়েজ খালে আটকে পড়েছিল, তখন এই দুর্ঘটনায় ক্যাপ্টেন এলসলেহডারের নাম উঠে আসে। এই ঘটনায় তাঁকে দায়ী করে খবরও প্রকাশিত হয়।পরে দেখা যায়, যাঁর কথা বলা হচ্ছে, 🅘তিনি সেদিন সেখানে ছিলেনই না।বরং কয়েকশত মাইল দূরে আলেকজান্দ্রিয়া বন্দরে কর্মরত ছিলেন তিনি। তাঁর নাম গোটা ঘটনায় জড়িয়ে পড়ায় প্রতিবাদে সরব হন মিশরের ওই মহিলা শিপ ক্যাপ্টেন।
তিনি বলেন,‘আমার মনে হচ্ছে, আমায় নিশানা করা হয়েছে এই কারণেই যেহেতু আমি একজন সফলতম মহিলা ক্যাপ্টেন।এমনটা হতেও পারে যে আমি💫 একজন𒅌 মিশরীয় বলে আমাকে নিশানা করা হচ্ছে।’ একইসঙ্গে মহিলা শিপ ক্যাপ্টেন জানান,‘আমাদের সমাজে এটা পছন্দ করে না যে একজন মহিলা জাহাজে কাজ করবে।দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের সদস্যদের ছেড়ে দূরে থাকতে হবে এটা অনেকেরই পছন্দ নয়। আসলে কোনও কাজ যেটা আপনার ভালো লাগে, সেটা করার জন্য অন্যের অনুমতি নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।’
একইসঙ্গে গোটা ঘ꧂টনার প্রতিবাদ করে মিশরের মহিলা শিপ ক্যাপ্টেন বলেন, 'যে ভুয়ো খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল সেটা ইংরাজিতে লেখা ছিল। ফলে এই খবর বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে গিয়েছে। এই ধরনের খবর আমার খ্যাতিকে নষ্ট করেছে। ফলে এই ধরনের ভুয়ো খবরকে কোনওভাবে মেন নেওয়া যায় না।'
উꩵল্লেখ্য, সুয়েজ খালে পণ্যবাহী একটি জাহাজ আটকে পড়ে যেটি সরাতে প্রায় এক সপ্তাহ সময় নেয়। এর ফলে, ওই খালে প্রায় ৩০০টিরও বেশ🌸ি জাহাজ আটকে পড়ে। গত ২৯ মার্চ খাল খেকে জাহাজটিকে পুরোপুরি সরানো সম্ভব হয়। এরপর ৩ এপ্রিলের মধ্যে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।