বিহারের সীতামারিতে ভয়াবহ ঘটনা। লিচু পাড়ার অভিযোগে ১২ বছর বয়সি এক কিশোরকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর তাকে স্থানীয় একটি পুকুরে ডুবিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। মৃত কিশোরের নাম দীপক কুমার। সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যায় দিঘি গ্রামের কাছে বন্ধুদের নিয়ে খেলছিল ওই কিশোর। কাছেই লিচুর গাছ। তা দেখে লোভ সামলাতে পারেনি তারা। আর সেই লিচু দেখে কয়েকজন বন্ধু গাছে উঠে লিচু পাড়ার চেষ্টা করে। তবে কাছেই ছিল গাছের মালিকের বাড়ি।তিনি তাড়া করতেই অন্যান্য কয়েকজন কিশোর পালিয়ে যায়। কিন্তু ধরা পড়ে যায় দীপক সহ অপর একজন। আর তারপরই শুরু হয় বেদম মার। অভিযুক্ত মালিকের নাম মকবুল বৈঠা।পুলিশ সূত্রে খবর, দীপককে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর পাশের পুকুরে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অন্য কিশোরকেও মারধর করা হয়েছে। সে হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত মকবুল।সীতামারির এসপি মনোজ কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তি বর্তমানে পলাতক।ওই মৃত কিশোরের মা সুনীতা দেবী জানিয়েছেন, আমার ছেলে মাঠে খেলতে গিয়েছিল। হয়তো দু একটা লিচু তুলে ফেলেছিল। কিন্তু তার জন্য তাকে মেরে ফেলতে হবে! এটা কেমন কথা। ঘটনার পর থেকে পুত্র শোকে কাতর দীপকের বাবা মা। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চাইছে পরিবার।স্থানীয় সূত্রে খবর, লিচু গাছের মালিক প্রাথমিকভাবে দুজনকে ধরে ফেলেছিল। এরপর তাদের একটা ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়। এরপর সেখানেই চলে মার। এরপর তারা মারা গিয়েছে এটা মনে করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।এদিকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাচ্চারা বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন অভিভাবকরা। এদিকে এক পথচারী দেখতে পান ঝোপের মধ্যে একজন কিশোর পড়ে রয়েছে। তারপর তিনি গ্রামে খবর দেন। আহত কিশোর পরে জানিয়েছেন মকবুল তার বউ ছেলেকে নিয়ে এসে তাদের ধরে ফেলে। এরপর মারধর করছিল। পুলিশ ইতিমধ্য়েই মকবুলের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।