যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে হাউসের কার্যক্রম চলাকালীন পর্ন দেখার অভিযোগ উঠল শাসকদলের এক সাংসদের বিরুদ্ধে। ব্রিটেনের ‘হাউস অফ কমনস’-এ (সংসদের নিম্নকক্ষ) মহিলা সাংসদরা এক বৈঠকে নারী নিগ্♎রহের বিষয়টি তুলে ধরছিলেন। সেই বৈঠক চলাকালীনই বরিস জনসনের দলের এক সাংসদ পর্ন দেখছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও অভিযুক্ত সাংসদের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকরা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করেন, যার জবাবে তিনি বলেন যে কোনও কাজের জায়গায় পর্ন ফিল্ম দেখা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে ব্রিটি♓শ সংসদে সিলেক্ট কমিটির বৈঠক চলাকালীন শাসকদলের সাংসদ এই কাণ্ড💯 করে বসেন। ব্রিটেনের এক মহিলা মন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন। বৈঠকে উপস্থিত অপর এক মহিলা সদস্যও এই একই অভিযোগ তোলেন সেই সাংসদের বিরুদ্ধে। এদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই কনজারভেটিভ পার্টির এক সাংসদ বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেই সাংসদের দল ও সংসদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত।’ এদিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন যে বুধবার এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বরিস জনসন বলেছেন, এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ব্রিটেনের প্ꦫরধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও আজকাল তদন্ত চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে লকডাউন চলাকালীন পার্টি করার অভিযোগ রয়েছে। বরিস জনসন বলেছিলেন যে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে পার্টিতে যোগ দেননি। যুক্তরাজ্যের সংসদ এখন বরিস জনসনের যুক্তি খতিয়ে দেখছে যে তিনি সত্য বলছেন কি না। এদিকে লকডাউনের নিয়ম ভাঙার দায়ে বরিস জনসনকে জরিমানাও করা হয়েছে। এই আবহে তাঁর দলের সাংসদের এহেন আচরণে আরও বিব্রত বরিস। উল্লেখ্য, অক্টোবরে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। এর আগে এত বিতর্কে মাথায় হাত জনসনের।