ইন্দোরে একটি ঘটনা সামনে এসেছে যা দেখে অবাক হয়েছেন পুলিশ থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। মোবাইল এবং টিভির নেশা ছাড়ানোর জন্য সন্তানদের বকাবকি করেছিলেন বাবা-মা। কিন্তু, তারপর সন্তানদের কীর্তি জানতে পেরে রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছেন ওই দম্পতি। শুধু তাই নয়, এমন ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন অভিভাবক ও প্রতিবেশীরা। কারণ, বাবা-মা বকাবকি করায় দুই ভাই বোন মিলে সোজা পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানায়। এমনই ঘটনা ঘটেছে ইন্দোরের চন্দননগর থানা এলাকায়। তা নিয়ে মামলা গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত এই মামলায় নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বাচ্ছা ফোন ছাড়তেই চায় না? জেনে নিন কী ভাবে কাটাবেন শিশুদের মোবাইলে আসক্ত🉐ি
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল করোনাকালে ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর। সেই সময় পড়শোনা চলছিল অনলাইনে। তার ফলে শিশু, কিশোরদের মধ্যে মোবাইলের নেশা 🌠অধ্যাধিক হারে বেড়ে গিয়েছিল। পড়াশোনা না করে মোবাইল ব্যবহার করায় ২১ বছরের মেয়ে ও ৮ বছরের ছেলেকে বকাবকি করেছিলেন তাদের বাবা মা। তখন ভাইবোন সোজা চন্দন নগর থানায় গিয়ে বাবা মায়ের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনায় পুলিশ বাবা মায়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। শুধু তাই নয়, কঠোর ধারা দেওয়া হয় অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। সেক্ষেত্রে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। অভিভাবকদের বিরুদ্ধে পুলিশ ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা), ৩৪২ (অন্যায়ভাবে আটকে রাখা), ২৯৪ (অশ্লীল কথা বলা), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) এবং শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পরে মা♈মলা ওঠে নিম্ন আদালতে। পরে এফআইআর বাতিল করার দাবিতে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই দম্পতি।
অভিভাবকদের আইনজীবী ধর্মেন্দ্র চৌধুরী জানান, হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ রেখেছে। অভিভাবকরা দাবি করেছেন, তারা শুধু পিতামাতা হিসেবে সন্তানদের শৃঙ্খলা পরায়ণ গড়ে তোলার জন্য বকাবকি করেছিলেন। তারা আরও জানান, শিশুদের ব🍌কাবকি করার আগে তাদের বারবার বোঝানো হয়েছিল।
অভিভাবকরা দাবি করেছেন, পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা না বলেই একতরফাভাবে মামলা রুজু করেছে। আদালতে অভিভাবকরা যুক্তি দেন, মোবাইল ওꦏ টিভির প্রতি শিশুদের আসক্তির কারণে প্রতিটি ঘরই উদ্বিগ্ন। সন্তানদের বকাবকি করা একটি স্বাভাবিক বিষয়। প্রত্যেক বাড়িতেই হয়। সবকিছু শোনার পর হাইকোর্ট এই মামলায় আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে।