গাড়ির কয়েকটি যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর পথে হাঁটল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তার ফলে কয়েকটি গাড়ির দাম বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। যদিও কেন্দ্রের দাবি, সেই সিদ্ধান্ত আদতে দেশের গাড়ি 🍸শিল্প চাঙ্গা হবে। ‘বুস্টার’ পাবেন দেশীয় উৎপাদকরা।
সোমবার বাজেটে সেফটি গ্লাস, উইন্ডস্ক্রিন ওয়াইপার, সিগনালিং যন্ত্রপাতি-সহ গাড়ির কয়েকটি যন্ত্রাশের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন কে💜ন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এতদিন সেই যন্ত্▨রাংশগুলিতে ৭.৫-১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করা হত। এবার তা বাড়িয়ে একলাফে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। সীতারামন বলেন, ‘বাকিদের সঙ্গে একই ধাপে নিয়ে আসার জন্য আমরা কয়েকটি গাড়ির যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করছি।’
তবে শুধু আমদানি শুল্ক নয়, ওই যন্ত্রাংশগুলির উপর পাঁচ শতাংশ কৃষি পরিকাঠামো সংক্রান্ত সেসও চাপানো হয়েছে। তার ফলে গাড়ির দাম বাড়তে পারে। কেন্দ্রের দাবি, দেশের ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল✤্প এবং দেশীয় উৎপাদকদের কিছুট🦄া সুবিধা প্রদানের জন্য আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। যাতে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ অভিযানের লক্ষ্য পূরণের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে পারবেন দেশীয় গাড়ি উৎপাদকরা।
স্বভাবতই সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দেশীয় গা♉ড়ি শিল্পমহল। অটোমোটিভ কম্পোনেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দীপক জৈন বলেন, ‘গাড়ির যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধির ফলে সেগুলি দেশেই তৈরির পথ প্রশস্ত হবে।’ একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, গতবারের তুলনায় এবার ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্পে যে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, তা অত্যন্ত আশাপ্রদ। তাঁর কথায়, ‘গাড়ির যন্ত্রাংশের শিল্পে ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্পে আধিপত্য আছে। শিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় সাহায্য পাবে তারা।’