আজ টানা সপ্তমবার🅰ের জন্য রেকর্ড বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই বাজেট উপস্থাপনের শুরুতেই অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন এবারের বাজেটে মধ্যবিত্ত এবং কর্মসংস্থানের ওপর বিশেষ জোর দেবে সরকার। এই আবহে প্রথমবার সংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরিতে যোগ দেওয়া♑ তরুণদের জন্য বড় ঘোষণা করেন নির্মলা। আজ নির্মলা জানান, প্রথম যাঁরা চাকরিতে ঢুকছেন, প্রভিডেন্ট ফান্ডে তাঁদের এক মাসের বেতন দেওয়া হবে। তিনটি ইন্সটলমেন্টে দেওয়া হবে ওই বেতন। বহু চাকরিজীবী এতে উপকৃত হবেন। নির্মলা আরও ঘোষণা করেন, ছোট সংস্থাগুলির কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে ভর্তুকি দেওয়া হবে। প্রথম যাঁরা কাজে ঢুকছেন, তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে এক মাসের বেতন দেওয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী জানান, বাজেটে নতুন এবং অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের জন্য উল্লেখযোগ্য সুবিধার প্রস্তাব করা হয়েছে যাতে প্রবৃদ্ধি বাড়ানো যায়। ৩টি স্কিম ঘোষণা করা হচ্ছে যার মধ্যে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন সহ প্রথমবারের চাকরিজীবীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে ১৫ হাজার পর্🐟যন্ত এক মাসের বেতন দেওয়া হবে। ৩টি কি🌱স্তিতে এই সুবিধা দেওয়া হবে। এদিকে প্রত্যেক নয়া কর্মচারীর জন্য কোম্পানিকে ইপিএফে যে টাকা দিতে হয়, সেটা একাংশ ফিরিয়ে দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। দু'বছরের জন্য সেই টাকা দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে। প্রতি মাসে ৩,০০০ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
আজ বাজেট প্রস্তাব পেশের শুরুতেই নির্মলা বলেন, 'দেশবাসী আবার নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভরসা রেখেছেন, তার জন্য আমরা দেশের প্রতি কৃতজ্ঞ।' এরপর নির𓆉্মলা ঘোষণা করেন, 'মধ্যবিত্ত ও কর্মসংস্থানের ওপর জোর দেওয়া হবে এই বাজেট। শিক্ষা খাতে ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থানের জন্য। এর ফলে সারা দেশে উন্নয়ন পৌঁছে যাবে।' এদিকে এই বাজেটে ৯টি বিষের ওপর বেশি ফোকাস করার কথা বলেন নির্মলা। সেই ৯টি বিষয় হল - কৃষিতে উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক এইচআরডি এবং সাম🌳াজিক ন্যায়বিচার, উৎপাদন এবং সার্ভিস, নগর উন্নয়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা, পরিকাঠামো, উদ্ভাবন ও রিসার্চ, পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কার।
এদিকে আজ কর্মসংস্থানের জন্য একাধিক ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ইন্টার্নশিপের সুযোগ থেকে শুরু করে সরাসরি টাকা পাঠানো, কর্মচারীদের সহায়তা প্রদান-সহ একাধিক ঘোষণা করা হল বাজেটে। এদিকে দেশের মধ্যে পড়াশোনার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শিক্ষা ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে সরকার সাহায্য করবে। এর🦄 জন্য প্রতি বছর ১ লক্ষ পড়ুয়াদের ই-ভাউচার দেওয়া হবে। এছাড়া রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কেন্দ্র একটি প্রকল্প আনার কথা বলেছে, যাতে ৫ বছর ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে পড়ুয়াদের।