আবারও খবরের শিরোনামে উঠে এল মোষ! তবে, এবার আর একটি নয়, চর্চা শুরু হয়েছে একদল মোষকে নিয়ে। কারণ, তারা সকলে মিলে আস্ত এক সিংহীকে তাড়িয়ে ছেড়েছে! আর সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ফের মোষ নিয়ে শুরু নেট নাগরিকদের আলোচনা।এবারের ঘটনাস্থল গুজরাত। সেখানকার একটি খামার বাড়িতে ঘটেছে এক উলট পুরাণ! ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে - ওই খামার বাড়ির গোয়ালঘরে এক জায়গায় উঁচু ঢিবি করে খড় কেটে রাখা আছে।হঠাৎ, একটি সিংহী সেই খড়ের গাদায় ঝাঁপিয়ে এসে পড়ে। কিন্তু, এমন ঘটনায় ভয় পাওয়া দূরে থাক, সেই গোয়ালঘরে থাকা মোষের দল চারপাশ থেকে ওই সিংহীকে একসঙ্গে আক্রমণ করে।সেই গোয়ালঘারে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট জানলা ছিল। বিপাকে পড়ে বেচারি সিংহী যখন বাইরে বেরোনোর রাস্তা খুঁজতে সেই জানলা দিয়ে বাইরে তাকায়, তখনও পিছন থেকে তার উপর হামলা করে মোষের দল।সিংহী রানি বুঝে যায়, ওই গোয়ালঘরে কালবিলম্ব করার অর্থ হল, সাক্ষাৎ মৃত্যু! তাই সে সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হয়।প্রসঙ্গত, মোষের আকার বিরাট হলেও, সিংহীর শক্তি এবং শিকারি হিসাবে তার দক্ষতা অপরিসীম। এই কারণেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, নিজের আকারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ আকার এবং ওজনের যেকোনও মোষকেও অনায়াসে ঘায়েল করে ফেলে সিংহীরা। আর তারপর শুরু হয় ভোজ!কিন্তু, এক্ষেত্রে তেমন কিছুই ঘটেনি। বরং, প্রাণ হাতে করে (থাবায় করে) পালাতে হয়েছে সিংহীটিকে।ওই ভাইরাল ভিডিয়োয় যে তারিখ ও সময় দেখা গিয়েছে, সেই অনুসারে গুজরাতের এই ঘটনাটি ঘটে গত সপ্তাহে - অর্থাৎ - গত ১৬ নভেম্বরে। সূত্রের দাবি, গুজরাতের কোদিনারের ঘাটওয়াড গ্রামের একটি খামার বাড়িতে এই অসামান্য ঘটনাটি ঘটেছে।প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই একটি মোষকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনেক লেখালিখি হয়েছিল। এমনকী, সোশাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছিল তার কাহিনি। কারণ, অনমোল নামের ওই মোষটির দাম নাকি ২৩ কোটি টাকা!সূত্রের দাবি ছিল, অনমোল এককথায় বিলাবহুল জীবন যাপন করে। তার ওজনও বিরাট - প্রায় ১,৫০০ কিলোগ্রাম! তার মালিক অনমোলের খাওয়া-দাওয়ার জন্যই প্রতিদিন প্রায় ১,৫০০ টাকা খরচ করেন।অনমোলের স্বাস্থ্য যাতে কোনও দিনই ভেঙে না যায়, তা নিশ্চিত করতে তাকে প্রতিদিনই ড্রাই ফ্রুটস এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ান তার মালিক।অনমোলের রোজের খাদ্যতালিকায় থাকে - ২৫০ গ্রাম কাঠবাদাম, ৩০টি কলা, ৪ কিলোগ্রাম ডালিম, ৫ লিটার দুধ এবং ২০টি ডিম! এছাড়াও, অনমোল তেল দিয়ে তৈরি কেক, সবুজ গোখাদ্য, ঘি, সয়াবিন এবং ভুট্টা খায়।