বুলেট ট্রেন প্রকল্পে কাজের তদারকির জন্য সরকারের তরফ🔯ে ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের (এনএইচএসআরসিএল) প্রধান করা হয়েছিল সতীশ অগ্নিহোত্রীকে। তবে কয়েকদিন আগেই তাঁকে দুর্নীতির অভিযোগে অপসারিত করা হয়। হিন্দুস্তান টাইমস জানতে পেরেছে অপসারণের দিনই মহারাষ্ট্র সরকারকে ১৬টি সমস্যার কথা উল্লেখ করে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তাঁর কথায়, এই সমস্যাগুলি এই🔯 প্রকল্পটিকে বিলম্বিত করছে।
এর আগে সতীশ অগ্নিহোত্রীকে ৮ জুলাই তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। রেল মন্ত্রকের কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে ২০১১ সালের একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে বরখাস্ত করা হয় সতীশকে। এদিকে হিন্দুস্তান টাইমসের হাতে আসা নথিগুলিতে দে🧸খা গিয়েছে যে ৭ জুলাই একটি চিঠি লেখেন অগ্নিহোত্রী। মহারাষ্ট্রের মুখ্য সচিবকে জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন সতীশ। তাছাড়া অন্যান্য সমস্যা সমাধান করার জন্যও অনুরোধ করেছিলেন তিনি। প্রকল্পের কাজ শুরু করতেই এই আ🦹বেদন করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১০-এর জানুয়ারি থেকে ২০১৮-এর অগাস্ট পর্যন্ত সতী🎀শ অগ্নিহোত্রী রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)-এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। সতীশকে অবসর ভাঙিয়ে ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের প্রধান করা হয়েছিল। গত ৮ জুলাই সেই সতীশ অগ্নিহোত্রীকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। এর আগে গত ৩ জুন লোকপাল আদালত সিবিআইকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দেয়। তবে তাঁর অপসারণের সঙ্গে তাঁর লেখার চিঠির কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে এনএইচআরসিএল-এর ডিরেক্টর (প্রোজেক্ট) রাজেন্দ্র প্রসাদকে জরুরি ভিত্তিতে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে ইন্দো-জাপান চতুর্দশ মিটিংয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা প্রকল্পের শ্লথ গতির জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলে খবর। এরপরই সতীশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়। আর তার আগের দিনই সরকারকে চিঠি লিখেছিলেন সতীশ। সরকারি পদকে কাজে লা♔গিয়ে আর্থিক তছরূপ, দুর্নীতি, স্বজনপোষণের মতো আরও ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।