আজ, শুক্রবার সকালে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় একসঙ্গে সাতজন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এই বাসটি বৈষ্ণদেবী যাচ্ছিল। আর সেই যাত্রাপথে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে এই বাস দুর্ঘটনায় সাতজন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনই হয়েছেন ২০ জন। তার মধ্যে আবার কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা ঘোষণা করেছেন, আম্বালা–দিল্লি–জম্মু জাতীয় সড়কে বাস দুর্ঘটনায় এই সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আর এখন ২০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। আজ ভোরবেলায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ওই বাসটি। আর তার জেরে বাসের একটি দি﷽ক সম্পূর্ণভাবে ভেঙে গিয়েছে।
এই বাস দুর্ঘটনার সময় কয়েকজন বাস থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন বলে খবর। তাতে আতঙ্ক আরও বাড়ে। কয়েকজন যাত্রী ওই বাসের মধ্যেই আটকে পড়েন। সেখান থেকে চিৎকার শোনা যায়, বাঁচাও বাঁচাও। তা শুনে এগিয়ে আসনে পথচারীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে ক্যꦯান্টনমেন্ট সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই বাসে মোট ২৬ জন যাত্রী ছিলেন। মৃতদের মধ্যে ছয় মাসের এক শিশু রয়েছে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। আহত এক ব্যক্তি জানান, ২৩ মে বৈষ্ণদেবীর উদ্দেশ্যে রওনা হন তাঁরা। মহদায় পৌঁছতেই হঠাৎ একটি গাড়ি মুখোমুখি বাসের সামনে চলে আসে। ব্রেক কষতেই নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। তখন সংঘর্ষ হয় একটি গাড়ির সঙ্গে। এই দুর্ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে কয়েকদিন আগেই🐭 হরি♌য়ানার নুহতে বড় ধরনের বাস দুর্ঘটনা হয়। যাত্রীবাহী ওই বাসে আগুন লেগে মৃত্য়ু হয় ৯ জনের। আহত হন ২৪ জন। শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ কুন্ডলি–মানেসার–পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে ঘটে ওই দুর্ঘটনা। বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। সকলেই পঞ্জাবের হোশিয়ারপুর ও লুধিয়াার বাসিন্দা। মথুরা ও বৃন্দাবন থেকে তীর্থ সেরে ফিরছিলেন। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বৈষ্ণদেবী যাওয়ার পথে বাস দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হল সাতজনের। এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: চা–বাগানের ১১ জন শ্রমিকের෴ মর্মান্তিক মৃত্যু, অস্বাস্থ্যকর পানীয় জল থেকে ডায়রিয়ার প্রকোপ
অন্যদিকে হরিয়ানার বাস দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্য়ে ৬ জন মহিলা ছিলেন। ওই ঘটনার একাধিক ছবি সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায় একটি উড়ালপুলের উপর দাউদাউ করে জ্বলছে বাসটি। সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা এক বৃদ্ধা সংবাদমাধ্য়মকে জানান, বাসটির পিছনে একটি মোটরবাইক আসছিল। ওই মোটরবাইক আরোহীই প্রথম আগুন লাগতে দেখে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওভারটেক করে বাসের চালককে সতর্ক🦹 করেন। বাসে তাঁর বেশ কয়েকজন আত্মীয় ছিলেন। সকলেই সাত আটদিনে তীর্থযাত্রা সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু ফেরার পথেই এমন মর্মাꦆন্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এবার বৈষ্ণদেবীর যাওয়ার ক্ষেত্রে সাতজনের মৃত্যু হল।