বুধবার চকোলেট প্রস্তুতকারক সংস্থা ক্যাডবেরির বিরুদ্ধে ভুয়ো উৎপাদন দেখিয়ে কর ফাঁকির অভিযোগে মামলা দায়ের করল সিবিআই। হিমাচলপ্রদেশের বাদ্দির কারখানায় বেশি করে উৎপাদন দেখিয়ে প্রায় ২৪১ কোটি টাকার কর ছাড়ের সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংস্থার বিরুদ্ধে। আদতে নেই কোনও উৎপাদন। কিন্তু কর ফাঁকি দিতে খাতায় কলমে বিশাল রেকর্ড। আর সেই রেকর্ডে সই করেছেন একের পর এক উচ্চপদস্থ সরকারি আমলা। মধ্যস্থতাকারী মারফত দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি আধিকারিকদের মোটা টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ক্যাডবেরির বড় কর্তাদের বিরুদ্ধে।সিবিআইয়ের দাবি, আদতে কোনও উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয় নি। কিন্তু কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা সমানে বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে আরও বেশি করে উৎপাদন দেখানো ও করছাড় পাওয়া সহজ হয়েছে।গত ২০১৭ সালে একটি প্রাথমিক তদন্তের পর, সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশন (CVC) এ বিষয়ে সেন্ট্রাল অ্যান্টি-কোরাপশান এজেন্সিকে তদন্তের ভার দেয়। প্রাথমিক তদন্ত থেকেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ে বিড়াল।তদন্তে জানা যায়, ২০০৭ সালে হিমাচল প্রদেশের বাদ্দিতে একটি কারখানা তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল ক্যাডবেরি ইন্ডিয়া। সেখানে সংস্থার জনপ্রিয়তম দুটি চকোলেট ক্যান্ডি- ফাইভ স্টার ও জেমস উৎপাদন হবে বলে জানানো হয়। স্থানীয় বাজারে বিক্রির বস্তু সেখানেই উত্পাদিত হলে করে বড়সড় ছাড় মেলে। সেই সুবিধা নেওয়াই মূল লক্ষ্য ছিল ক্যাডবেরি ইন্ডিয়ার কয়েকজন কর্তার।তদন্তকারীদের দাবি, কর ছাড় পেতে সংস্থার এক্সিকিউটিভ বোর্ডের কয়েকজন সদস্য ও ম্যানেজার ভুয়ো রেকর্ডের ফন্দি আঁটেন। আর এই পথ মসৃণ করতে হেভিওয়েট আমলাদের মোটা টাকা ঘুষও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।সিবিআইয়ের অভিযোগ অনুসারে, এরিয়া-বেসড ট্যাক্স বেনেফিট পাওয়ার এক্তিয়ারভুক্ত নয় জেনেও ক্যাডবেরি কোটি কোটি টাকার করছাড় ঘুরপথে গ্রহণ করেছে। এক্সাইজ ও আয়করে রয়েছে বড়সড় ফাঁকি। বেআইনিভাবে নেওয়া হয়েছে ছাড়।বুধবার হরিয়ানা ও হিমাচলপ্রদেশে ৫টি স্থানে হানা দেয় সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের এফআইআর-এ নাম রয়েছে ক্যাডবেরির তত্কালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট (আর্থিক) বিক্রম আরোরা, সাপ্লাই চেইনের তত্কালীন ডিরেক্টর জয়বয় ফিলিপ্স প্রমুখ হেভিওয়েট কর্তারা।