কয়েক প্রকারের চকোলেটে কি গো-মাংস থেকে তৈরি জিলাটিন ব্যবহার করছে ক্যাডবেরি? তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছিল। যদিও সেই দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিল ব্রিটিশ সংস্থা। সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাপ্ত যে কোনও তথ্য শেয়ার করার আগে যাচাই করে ন𒆙েওয়ার জন্য গ্রাহকদের পরামর্শ দেওয়া হল।
রবিবার ক্যাডবেরির তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘টুইটে (জিলাটিন ব্যবহার নিয়ে একটি স্ক্রিনশট) য⛄ে স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়েছে, তা ভারতে উৎপাদিত মন্ডেলেজ/ক্যাডবেরির সামগ্রীর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। ভারতে যে সব দ্রব্য তৈরি করা হয় এবং বিক্রি করা হয়, তা ১০০ শতাংশ নিরামিষ। প্যাকেটে যে সবুজ ডট থাকে, তাতেই সে বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।’ ব্রিটিশ সংস্থার তরফে ক্ষোভের সুরে সাফ জানানো হয়েছে, এরকম বিভ্রান্তিকর পোস্টের ফলে ক্যাডবেরির ভাবমূর্তি ধাক্কা খেতে পারে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আপনারা পরিষ্কারভাবেই বুঝতেই পারছেন যে এরকম নেতিবাচক পোস্টের ফলে আমাদের বিশ্বস্ত এবং প্রিয় ব্র্যান্ডের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ধাক্কা খেতে পারে। গ্রাহকদের কাছে আমাদের আর্জি জানাচ্ছি, যে কোনও তথ্য শেয়ারের আগে আমাদের দ্রব্য সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করে নিন।’
সম্প্রতি একটি ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট তুলে টুই🌺টার ব্যবহারকারীরা দাবি করতে থাকেন, কয়েক প্রকারের চকোলেটে গো-মাংস থেকে তৈরি জিলাটিন ব্যবহার করে থাকে ক্যাডবেরি। ওই স্ক্রিনশটে (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) লেখা ছিল, ‘দয়া করে মাথায় রাখবেন, যদি আমাদের কোনও দ্রব্যে জিলাটিন থাকে, তাহলে তা হালাল শংসাপত্রপ্রাপ্ত এবং গো-মাংস থেকে নেওয়া হয়েছে।’ তারপর ক্যাডবেরির বিভিন্ন ধরনꦿের দ্রব্য বয়কটের দাবি তুলছিলেন নেটিজেনদের একাংশ। চলতে থাকে #বয়কট ক্যাডবেরি (#boycottcadbury) ট্রেন্ডও। সেই স্ক্রিনশট শেয়ার করে এক নেটিজেন বলেন, ‘শুধুমাত্র #বয়কট ক্যাডবেরি (#boycottcadbury) করে কোনও লাভ হবে না। ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে ছেলেখেলা এবং প্রাণীদের থেকে নেওয়া কোনও উপাদান নেওয়া সত্ত্বেও প্যাকেটে গ্রিন ডট দেখানোয় আইন মোতাবেক জরিমানা করা উচিত।’
ক্রমশ বিতর্ক বাড়তে থাকার মধ্যে মন্ডেলেজ ইন্টারনাশ্যনালের মালিকাধীন সংস্থার তরফে গো-মাংস ব্যবহারের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়। অনেকে ভাইরাল স্ক্রিনশটের ছবি দেখিয়ে দাবি করেন, ওই ওয়েবসাꦡইট ক্যাডবেরি অস্ট্রেলিয়ার আদতে। যদিও সে বিষয়ে ক্যাডবেরির তর💯ফে কিছু জানানো হয়নি।